পশ্চিমবঙ্গ

west bengal

ETV Bharat / bharat

Electrocution at Delhi Station: নয়াদিল্লি রেলস্টেশনে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু মহিলার - বর্ষা শুরু হতেই দুর্ভোগ রাজধানী দিল্লিতে

নয়াদিল্লি রেলস্টেশনে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হল এক মহিলার। ঘটনার সময় তিনি পরিবারের সঙ্গে চণ্ডীগড় যাচ্ছিলেন। বৃষ্টির কারণে স্টেশন চত্বরে জমে থাকা জলে বিদ্যুতের পড়ে থাকা ইলেকট্রিক তারের সংস্পর্শে আসাতেই এই মৃত্যু বলে জানা গিয়েছে।

Etv Bharat
রেলস্টেশনে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু মহিলার

By

Published : Jun 25, 2023, 5:24 PM IST

নয়াদিল্লি, 25 জুন: বর্ষা শুরু হতেই দুর্ভোগ রাজধানী দিল্লিতে । প্রবল বৃষ্টির জেরে ব্যাহত জনজীবন। বেশ কিছু জায়গায় জমে গিয়েছে জল। নয়াদিল্লি রেলস্টেশন চত্বরে বৃষ্টির জমে থাকা সেই জলে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হল এক মহিলার । জানা গিয়েছে, শনিবার সন্ধ্যা থেকে লাগাতার বৃষ্টি হচ্ছে নয়াদিল্লিতে। আর তার জেরেই জল জমে নয়াদিল্লি স্টেশনে। সেই জলে পড়ে থাকা বিদ্যুতের তারের সংস্পর্শে এসে মৃত্যু হয় ওই মহিলার।

পুলিশ সূত্রে খবর, মৃত মহিলার নাম সাক্ষী আহুজা । তিনি বিহারের বাসিন্দা। পরিবারের সাথে ছুটি কাটাতে চণ্ডীগড় যাচ্ছিলেন ওই মহিলা । বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ওই মহিলার মৃত্যু হওয়ার পর অপরাধমূলক হত্যার মামলা দায়ের করেছে দিল্লি পুলিশ। মৃত মহিলার পরিবারের তরফে জানানো হয়েছে, ভোপাল শতাব্দী এক্সপ্রেস ট্রেন ধরতে স্টেশনে ট্যাক্সি থেকে নেমেছিলেন সাক্ষী। প্রবল বৃষ্টির কারণে স্টেশন চত্বরে জল জমে গিয়েছিল । কিন্তু ট্রেনের সময় হয়ে যাওয়ায় ওই মহিলা দ্রুত পায়ে জলের মধ্যে দিয়ে হেঁটে যাওয়ার বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে তাঁর মৃত্যু হয়।

মৃত মহিলার বাবা লোকেশ কুমার চোপড়া বলেন, "আমরা চণ্ডীগড় যাচ্ছিলাম। আমি পার্কিং এলাকায় ছিলাম। সেখানেই জানতে পারলাম মেয়ে সাক্ষী বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা গিয়েছে ।" একইসঙ্গে, তিনি গোটা ঘটনার জন্য সংশ্লিষ্ট রেল কর্মকর্তাদের গাফিলতিকেই দায়ী করেছেন । অন্যদিকে দুর্ঘটনায় রেলের চরম গাফিলতি যে ছিল, সে বিষয়ে সরব হয়েছেন অনেকেই । পুলিশ জানিয়েছে, প্রাথমিকভাবে এক মহিলা অজ্ঞান হয়ে পড়েছেন বলে তারা খবর পেয়েছিল। এরপরই দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দিল্লি পুলিশের একটি দল। এরপর পুলিশ এবং সাক্ষীর বোন মাধবী চোপড়া লেডি হার্ডিঞ্জ মেডিকেল কলেজে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসকরা সাক্ষীকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।

আরও পড়ুন:একাধিকবার ধর্ষণের শিকার হয়ে গর্ভবতী সতেরোর কিশোরী! গ্রেফতার অভিযুক্ত বাবা ও প্রতিবেশী

মহিলার ময়নাতদন্ত করে স্বজনদের কাছে ইতিমধ্য়েই তুলে দিয়েছে দিল্লি পুলিশ। মৃতের পরিবার অবশ্য সাক্ষীর মৃত্যুর জন্য সরকারি আধিকারিকদের অবহেলা এবং গাফিলতিকেই দায়ী করেছে । একইসঙ্গে, রেলের আধিকারিকদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিও জানিয়েছেন সাক্ষীর পরিবারের সদস্যরা। সাক্ষীর স্বামী অঙ্কিত আহুজা পেশায় একজন ইঞ্জিনিয়ার। তিনি গুরগাঁওয়ে একটি কোম্পানিতে কাজ করেন বলে জানা গিয়েছে। তিনিও সাক্ষীর মৃত্যুর জন্য সরকারি আধিকারিকদেরই দায়ী করেছেন । সরকারি কর্মীদের অবহেলার কারণেই সাক্ষীর মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ তাঁর । সাক্ষীর দুটি ছোট বাচ্চা আছে এবং তার এক বৃদ্ধ শ্বশুরও আছে। সাক্ষীর পরিবারের সদস্যদের দাবি, এই গাফিলতির সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হোক।

ABOUT THE AUTHOR

...view details