উদয়পুর, 18 এপ্রিল: গভীর কুয়োয় পড়ে প্রাণ গেল এক মহিলা এবং তাঁর তিন সন্তানের ৷ মঙ্গলবার মর্মান্তিক এই ঘটনাটি ঘটে রাজস্থানের উদয়পুরে ৷ পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রয়াত মহিলার বয়স 30 বছর ৷ নাই থানা এলাকার বাছার গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন তিনি ৷ নাম, নভলি বাই ৷ তাঁর মৃত তিন সন্তানের বয়স 8 থেকে 12 বছরের মধ্যে ৷
তিন সন্তান-সহ নভলি কুয়োয় পড়ে যাওয়ার পর গ্রামবাসীর পক্ষ থেকে স্থানীয় খবর পাঠানো হয় ৷ পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে চারজনেরই দেহ কুয়ো থেকে উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায় ৷ থানার স্টেশন অফিসার শ্যাম রত্নু জানিয়েছেন, "আমাদের কাছে খবর যায়, এক মহিলা ও তাঁর তিন সন্তান কুয়োয় পড়ে গিয়েছেন ৷ সম্ভবত তাঁদের মৃত্যু হয়েছে ৷ আমরা এখানে পৌঁছে দেখি, চারজনের কেউই জীবিত নেই ৷ গ্রামবাসীর আশঙ্কাই সত্যি ছিল ৷ এরপর চারটি দেহকেই কুয়ো থেকে উপরে তোলা হয় ৷ ময়নাতদন্তের জন্য সেগুলিতে স্থানীয় হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে ৷ তবে, কীভাবে ওই মহিলা কুয়োয় পড়লেন, তাঁর তিন সন্তানই বা কীভাবে পড়ে গেল, সেটা এখনও জানা যায়নি ৷ আমরা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছি ৷"
বিষয়টি নিয়ে স্বাভাবিকভাবেই জল্পনা শুরু হয়েছে ৷ গ্রামবাসী বলছেন, জল তুলতে গিয়ে কুয়োয় পড়ে যাওয়ার ঘটনা খুব বেশি ঘটে না ৷ তার উপর একসঙ্গে চারজনের এভাবে কুয়োয় পড়ে যাওয়াটা যথেষ্ট সন্দেহজনক ৷ প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কি কোনও কারণে নভলি বাই নিজেই বাচ্চাদের নিয়ে কুয়োয় ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্য়া করেছেন ? নাকি, কেউ বা কারা নভলি ও তাঁর তিন সন্তানকে খুন করেছে ? এক্ষেত্রে প্রশ্ন হল, নভলি আত্মহত্যা কেন করবেন ? কী এমন দুঃখ ছিল তাঁর ? তাছাড়া, যেকোনও মায়ের পক্ষেই তাঁর সন্তানদের নিয়ে এমন পরিণতির পথে এগিয়ে চলা অত্যন্ত কঠিন ৷ আর যদি এই চারজনের খুন করা হয়ে থাকে, তাহলেও প্রশ্ন ওঠে, ছাপোষা এক বধূ এবং তাঁর ছোট তিন সন্তানকে কেউ কেন খুন করবে ?
আরও পড়ুন:রাইস মিল ভেঙে পড়ে মৃত 4, আহত অন্তত 20
আপাতত এই সমস্ত প্রশ্নেরই উত্তর খুঁজছে পুলিশ ৷ নভলির পরিবারের সদস্য, প্রতিবেশী-সহ বহু লোকের সঙ্গে কথা বলা হচ্ছে ৷ শ্যাম রত্নু জানিয়েছেন, মৃত্যুর কারণ নিয়ে তাঁরা এখনও নিশ্চিত নন ৷ ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে এলে এই বিষয়ে ধোঁয়াশা অনেকটাই কাটবে বলে মনে করছেন তিনি ৷