প্রয়াগরাজ, 4 জুন:একেই বোধহয় বলে প্রদীপের তলায় অন্ধকার! পুলিশের কাজ সমাজকে সুরক্ষিত রাখা। কিন্তু দেশের সবচেয়ে বড় রাজ্যে এক মহিল পুলিশ কর্মীর দিন কাটছে চরম অসহয়তা নিয়ে। অভিযোগ, বিয়ের পর তাঁর ধর্ম পরিবর্তনের জন্য চাপ দিয়েছে স্বামীর পরিবার। রাজি হননি বলে নাকি নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছে। এমনকী স্বামীর এক শ্যালকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগও তুলেছেন নির্যাতিতা পুলিশ কনস্টেবল।
পুলিশ সূত্রে খবর ধর্ষণে অভিযুক্ত হয়েছেন আইপিএলের ক্রিকেটার মহসিন খান! অবাক হওয়ার এখানেই শেষ নয়। মহিলার দাবি, তাঁর স্বামীও পুলিশ বলে প্রথম দিকে নাকি তাঁর এফআইআর নেওয়া হচ্ছিল না। শেষমেশ স্বামী, তাঁর শ্যালক-সহ আরও কয়েকজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়েছে। তবে যে সমস্ত ধারায় মামলা দায়ের হয়েছে তা দেখে সন্তুষ্ট নন নির্যাতিতা। এমতাবস্থায় মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন তিনি।
জানা গিয়েছে, ঘটনার সূত্রপাত 2018 সালে। ইমরান নামে এক পুলিশ কর্মীর সঙ্গে আলাপ হয় নির্যাতিতার। দু'জন প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। এরপর ইমরান নির্যাতিতাকে জানান, তিনি ইসলাম ধর্ম ছেড়ে বৌদ্ধধর্ম অবলম্বন করেছেন। সেই মতো বৌদ্ধ ধর্মের রীতিনীতি মেনে বিয়ে হয় দু'জনের। কিন্তু নির্যাতিতার দাবি, এরপর থেকেই তাঁর উপর ইসলাম ধর্ম অবলম্বন করার চাপ আসতে থাকে। সময় যত বাড়ে ততই অসহনীয় হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। কিন্তু ধর্ম পরিবর্তনে রাজি ছিলেন না নির্যাতিতা । নিজের দাবিতে অনড় থাকায় তাঁকে ধর্ষণের শিকার হতে হয় বলে তাঁর দাবি ।
আরও পড়ুন:ছাত্রীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগে গ্রেফতার বিশ্বভারতীর অধ্যাপক
লিখিত অভিযোগে পুলিশকে নির্যতিতা জানিয়েছেন, 2019 সালে একটি পারিবারিক অনুষ্ঠান চলাকালীন আইপিএলের ক্রিকেটার মহসিন খান তাঁকে ধর্ষণ করেন । পরিবারের বাকিদের জানিয়েও কোনও সুরাহা হয়নি। শেষমেশ সহকর্মীদের সাহায্য নেওয়ার কথা ভাবেন নির্যাতিতা । সেখানেও হতাশাই সঙ্গী হয়। অভিযোগ,স্বামী প্রভাব খাটান । আর তার জেরেই নির্যাতিতার অভিযোগ প্রথমে নিতে চায়নি পুলিশ। দীর্ঘ টালবাহানার পর অভিযোগ নেওয়া হয়। ঘটনা সম্পর্কে কলনেলগঞ্জের এসিপি রাজেশ যাদব সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, মহিলার অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হয়েছে। কয়েকটি নির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে তদন্ত এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে।