গুমলা, 26 জুন: তুকতাক সন্দেহে এক মহিলার পরিবারকে আক্রমণের অভিযোগ উঠল গ্রামবাসীদের একাংশের বিরুদ্ধে ৷ এমনকী আক্রমণের জেরে ওই মহিলার মৃত্যু হয়েছে বলেও জানা গিয়েছে ৷ শনিবার রাত 10টার দিকে তাঁরা লাঠিসোঁটা নিয়ে বাড়িতে হানা দিয়ে মৃত পরিবারের সদস্যদের বেধড়ক মারধর করে বলে অভিযোগ ৷ ঘটনাটি ঘটেছে ঝাড়খণ্ডের গুমলার সিসাই থানা এলাকার নগর চাদরি টোলি গ্রামে ৷
অন্ধবিশ্বাস ও কুসংস্কারের বশবর্তী হয়ে গ্রামবাসীদের মারধরের ফলে সালো দেবীর (55) মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ ৷ গুরুতর আহত হন তাঁর স্বামী আহলাদ লোহরা (60), বোন সবিতা কুমারী (50) ও ভগ্নিপতি লক্ষ্মী কুমারী (42) ৷ পুলিশের বিচক্ষণতায় পরিবারের অন্যদের প্রাণ বাঁচে ৷ সমাজকর্মী দামোদর সিংকে খবর দিয়ে ঘটনাস্থলে পাঠিয়েছিল পুলিশ ৷ দামোদর পৌঁছনোর সঙ্গে সঙ্গে হামলাকারী গ্রামবাসীরা পালিয়ে যায় ৷ পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে আহতদের উদ্ধার করে সিসাই রেফারেল হাসপাতালে নিয়ে যায় ৷ মৃতদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে ৷
ঘটনার পর থেকেই পুরো গ্রামের পরিবেশ থমথমে ৷ রাত থেকেই গ্রামে পুলিশ পিকেটিং বসানো রয়েছে ৷ এই ঘটনায় এসডিপিও মণীশ চন্দ্র লাল জানান, ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে ৷ শীঘ্রই ঘটনার সঙ্গে জড়িত খুনিরা ধরা পড়বে ৷ জানা গিয়েছে, দিনকয়েক ধরে চাদরি টোলির বাসিন্দা নিরঞ্জন ওরফে রঞ্জন ওরাওঁয়ের দেড় বছরের মেয়ে আঁচল কুমারীর স্বাস্থ্যের অবনতি হতে শুরু করে ৷ নিরঞ্জনের সন্দেহ ছিল যে, সালো দেবী তার মেয়েকে জাদুবিদ্যার মাধ্যমে অসুস্থ করেছেন ৷ যা নিয়ে শনিবার রাত 9টার দিকে নিরঞ্জনের মা সুকরো দেবী সালোর বাড়িতে গিয়ে তার বিরুদ্ধে জাদুবিদ্যার অভিযোগ তোলে এবং ভয়ঙ্কর পরিণামের হুমকি দেয় ৷