নয়াদিল্লি, 9 অক্টোবর: মা ও তাঁর দুই শিশু সন্তানের মর্মান্তিক মৃত্যু রাজধানীতে ! রবিবার দিল্লির মুনিরকা এলাকায় তাঁদেরই ফ্ল্যাটের ভিতর থেকে তাঁদের দেহ উদ্ধার হয়েছে ৷ তিন জনেরই হাতের শিরা কাটা অবস্থায় ছিল বলে জানিয়েছেন পুলিশের আধিকারিকরা । মৃত মহিলার বাবার অভিযোগ, পণের দাবিতে হয়রানির পাশাপাশি তুকতাক বা ব্ল্যাক ম্যাজিকের মাধ্যমে তাঁর কন্যাকে হত্যা করেছেন তাঁর কনস্টেবল স্বামী ৷
দিল্লি পুলিশের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, রবিবার কিষানগড় থানার মুনিরকা গ্রামে ওই মহিলার মৃত্যুর খবর পাওয়ার পর তাঁর বাড়িতে পৌঁছয় পুলিশের একটি দল ৷ ঘটনাস্থলে পৌঁছে বাড়ির চতুর্থ তলায় অবস্থিত কক্ষের দরজা ভিতর থেকে বন্ধ অবস্থায় পাওয়া যায় বলে পুলিশের আধিকারিকরা জানিয়েছেন ৷ দমকল বিভাগের কর্মকর্তারা দরজাটি ভেঙে ফেলেন ৷ দরজা ভেঙে পুলিশের দল ঘরের ভিতরে প্রবেশের সঙ্গে সঙ্গেই দেখতে পায় যে, রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে ওই মহিলা এবং তাঁর দুই সন্তানের মৃতদেহ ৷
জানা গিয়েছে, মৃত মহিলার বয়স 27 বছর ৷ আর তাঁর দুটি সন্তানের একটির বয়স 4 বছর এবং অন্যটির বয়স আড়াই বছর । পুলিশের কাছ থেকে প্রাপ্ত তথ্যে জানা গিয়েছে যে, ওই মহিলা ও তাঁর দুই সন্তানের দুটির হাতের শিরা কাটা অবস্থায় পাওয়া গিয়েছে ৷ পুলিশের এক আধিকারিক বলেন যে, ঘটনার প্রাথমিক তদন্তের পর অনুমান করা হচ্ছে যে, মহিলাটি প্রথমে উভয় শিশুর শিরা কেটে ফেলেন এবং তারপর নিজের হাতের শিরা কেটে আত্মহত্যা করেন ।
আরও পড়ুন:মুংগেরে গোপন অভিযানে বেআইনি অস্ত্র কারখানার হদিশ লালবাজারের, গ্রেফতার 2
2017 সালে নারকোটিকস কন্ট্রোল ব্যুরোর কর্তব্যরত এক কনস্টেবলের সঙ্গে বিয়ে করেন ওই মহিলা ৷ তাঁর বাবা উত্তরপ্রদেশের মোরাদাবাদের বাসিন্দা ৷ তাঁর অভিযোগ, তাঁর মেয়ের উপর তুকতাক করতেন তাঁর জামাই ৷ থানায় জামাইয়ের বিরুদ্ধে দায়ের করা অভিযোগে ওই ব্যক্তি আরও দাবি করেন যে, জামাই তাঁর মেয়েকে যৌতুকের জন্যও উত্ত্যক্ত করতেন । মৃতার বাবার কথায়, "তিনি আমার মেয়েকে নেশা করিয়ে তন্ত্র-মন্ত্র করতেন । এটি আত্মহত্যা নয়, একটি সুপরিকল্পিত ষড়যন্ত্রের অংশ ও হত্যা ৷"