নিউ দিল্লি, 11 মে : পশ্চিমবঙ্গ থেকে টিকরি সীমান্তে কৃষক আন্দোলনে যোগ দিতে এসে করোনা সংক্রমণে হরিয়ানার একটি হাসপাতালে মারা গিয়েছেন এক মহিলা ৷ অভিযোগ উঠেছে তাঁকে ধর্ষণ করেছিল ‘কিষাণ সোশ্যাল আর্মি’র দু‘জন সদস্য ৷ এবার এই ঘটনায় নতুন মোড় ৷
কৃষক আন্দোলনের প্রধান সংগঠন সংযুক্ত কিষাণ মোর্চা জানিয়েছে, তাদের দলের বেশ কিছু সদস্য এই ঘটনা জানলেও তারা এর বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ নেয়নি ৷
কৃষক নেতা যোগেন্দ্র যাদব একটি ভার্চুয়াল কনফারেন্সে বলেছেন, "আমরা টেলিভিশনে দেখেছি যে কয়েকজন কৃষক নেতা টিকরি সীমান্তে এই ধর্ষণের ঘটনা জানলেও কোনও পদক্ষেপ করেননি ৷ আমরা এ বিষয়ে এখনই নিশ্চিত করে কিছু বলতে পারছি না ৷ কিন্তু কথা দিচ্ছি যে, এর তদন্ত করব আর কঠিন শাস্তির ব্যবস্থা করব ৷"
দিল্লি আসার পথে আর টিকরি সীমান্তে পৌঁছানোর পর ‘কিষাণ সোশ্যাল আর্মি’-র কয়েকজন সদস্য মহিলাকে ধর্ষণ করে ৷ এর এক সপ্তাহ পরে কোভিডের লক্ষণ নিয়ে তিনি ঝজ্জরের জেলা হাসপাতালে ভর্তি হন ৷ সেখানে 30 এপ্রিল চিকিৎসারত অবস্থায় মারা যান তিনি ৷ ওই দিন মারা যাওয়ার আগে তাঁর বাবাকে সমস্ত ঘটনা বলে যান তিনি ৷
আরো পড়ুন: ভারতের কোভিড ত্রাণে 150 কোটি টাকা দান টুইটারের
যোগেন্দ্র যাদব জানিয়েছেন, এই ধর্ষণের কথা প্রকাশ্যে আসে, যখন মেয়েটির বাবা এই কথা এসকেএম-কে জানান ৷ তিনি 8 মে দু'জনের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করলেও হরিয়ানা পুলিশ ছ'জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে ৷ এর মধ্যে দু'জন আবার প্রত্যক্ষদর্শী ৷ তাই তাঁর প্রশ্ন, "যদি অভিযুক্তরাই ঘটনার সাক্ষী হয়, তাহলে পুলিশ কী ভাবে তদন্ত করবে?" কৃষক নেতার দাবি, কিষাণ সোশ্যাল আর্মি কখনওই কৃষক আন্দোলনের স্বীকৃত সংগঠন নয় ৷ এদের সঙ্গে টিকরি সীমান্তে কৃষক আন্দোলনের কোনও সম্পর্ক নেই ৷
এই ঘটনায় কৃষক নেতা গুরনাম সিং চারুনির নাম জড়ালেও তা নিয়ে নিশ্চিত কিছু বলতে পারছেন না যোগেন্দ্র ৷ আরেক কৃষক নেতা হান্নান মোল্লা জানিয়েছেন, কৃষক আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী মহিলাদের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে একটি কমিটি তৈরি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাঁরা ৷