হায়দরাবাদ, 11 নভেম্বর: আগামিকাল, 12 নভেম্বর হিমাচল প্রদেশে বিধানসভা নির্বাচন (Himachal Pradesh Assembly Elections 2022) ৷ এই পাহাড়ি রাজ্যের বিধানসভার 68টি আসনে ভোট নিয়ে কংগ্রেসের (Congress) কড়া চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি ভারতীয় জনতা পার্টি (BJP) ৷ অন্তত সিমলার জনজীবন দেখে তা মনে হচ্ছে ৷ রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা অবশ্য বলেন যে বিজেপি জানে কীভাবে হারা ভোট জিততে হয় ৷ তবুও হিমাচলে গেরুয়া শিবিরের নেতা-কর্মীরা কিন্তু স্বস্তিতে নেই ৷
এখন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিই (PM Narendra Modi) ভরসা সেখানকার নেতাদের ৷ মোদিও টের পেয়েছেন যে এই রাজ্যে প্রতিষ্ঠান বিরোধী হাওয়া প্রবল ৷ তার উপর টিকিট বণ্টন নিয়ে গেরুয়া শিবিরে ক্ষোভের আগুন জ্বলছে ৷ সেই কারণেই তিনি হিমাচল প্রদেশের সোলানের একটি সভা থেকে সাধারণ মানুষের কাছে প্রার্থীর কথা ভুলে গিয়ে শুধু পদ্ম প্রতীক দেখে ভোট দেওয়ার আবেদন করেছেন ৷
2014 সালের পর থেকে প্রায় প্রতিটি রাজ্যের ভোটেই মোদির ক্যারিশমার ওপরই ভরসা করে এসেছে বিজেপি ৷ এখানেও তার ব্যতিক্রম হচ্ছে না ৷ বরং মোদি কার্যত স্পষ্ট করে দিয়েছেন যে বিজেপির সরকার হলে আসলে রাজ্যটা চালাবেন তিনি ও কেন্দ্রে থাকা তাঁর সরকার ৷
কিন্তু তিনি কেন এমন বললেন ? হিমাচল প্রদেশ বিজেপির জাতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা (JP Nadda) ও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুরের (Anurag Thakur) রাজ্য ৷ বিজেপি কার্যকর্তা হিসেবে মোদিও এই রাজ্যে অনেকটা সময় কাটিয়েছেন অতীতে ৷ ফলে তাঁর এই রাজ্য়ের প্রতি বাড়তি টান রয়েছে ৷ তাছাড়া ভূমিপুত্র হওয়ার জন্য এই রাজ্যে অনেকটাই সময় ব্যয় করেছেন নাড্ডা ও অনুরাগ ৷ তার পরও কয়েকটি সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে যে এবারের ভোটে কংগ্রেস কার্যত বিজেপির ঘাড়ে নিশ্বাস ফেলছে ৷ আর এটা গেরুয়া শিবিরের কাছে যথেষ্ট চিন্তার বিষয় ৷
হিমাচলে উচ্চবর্ণের ভোটারের সংখ্যা বেশি ৷ তাই এখানে ভোটে জয়ের জন্য হিন্দুত্বই তুরুপের তাস বিজেপির ৷ সেই কারণেই ক্ষমতায় এলে ইউনিফর্ম সিভিল কোড (UCC) চালু করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে তারা ৷ এই নিয়ে এখনও কোনও সাড়া সেভাবে না পড়লেও বিজেপির আশা, এতেই কাজ হবে ৷ হিন্দু ভোটারের বড় অংশ পদ্ম প্রতীকের উপর আস্থা রাখবেন ৷ তাছাড়া মন্দিরে মন্দিরে ঘুরেও বিজেপি হিন্দুদের আস্থা অর্জনের চেষ্টা করেছে ৷ মোদিও মন্দির দর্শনের মাধ্যমে নিজেকে হিন্দুত্বের একমাত্র রক্ষাকর্তা হিসেবে তুলে ধরতে চেয়েছেন ৷