নয়াদিল্লি, 19 সেপ্টেম্বর: 'মঙ্গল দিন'। তখনও নয়া সংসদ ভবনে অধিবেশন শুরু হয়নি ৷ পুরনো সংসদ ভবনে সমাপ্তি অনুষ্ঠানে একে একে যোগ দিচ্ছেন বিশিষ্টরা । হঠাৎ সোনিয়া গান্ধির দিকে প্রশ্ন এল 'মহিলা সংরক্ষণ বিল' নিয়ে । নেত্রী বলে উঠলেন, "এই বিল তো আমাদের, নতুন করে তো কিছু বলার নেই"। এখানেই শেষ নয়, লোকসভায় 'মহিলা সংরক্ষণ বিল' পেশ করে যখন লোকসভা ভোটের আগে 'কার্যকরী তাস' খেলে ফেললেন মোদি, তখনও কংগ্রেস এই বিল পেশকে নিজেদের কৃতিত্ব বলে দাবি করছে। এখন প্রশ্ন, কেন এমনটা দাবি করছে কংগ্রেস ? মহিলা সংরক্ষণ বিলে তাদের কৃতিত্বটাই বা কি?
রাজনৈতিক মহলে যখন এই প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে, তখন চোখ রাখা যাক মহিলা সংরক্ষণ বিলের অতীত ইতিহাসে ৷ কারণ, দেশের আইনসভা ও বিভিন্ন প্রশাসনিক মহলে মহিলা সংরক্ষণ বিল নিয়ে আলোচনা বা বিতর্ক নতুন নয়। যার সূত্রপাত সত্তরের দশকের ভারতে, কংগ্রেস জমানায়। অন্তত তথ্য এমনই বলছে।
আরও পড়ুন: ভারত নারী-নেতৃত্বাধীন উন্নয়নের জন্য প্রস্তুত, মন্তব্য প্রধানমন্ত্রীর
সালটা 1971, রাষ্ট্রসংঘের অনুরোধে তৎকালীন কংগ্রেস সরকার মহিলাদের সামাজিক মর্যদা খতিয়ে দেখতে একটি কমিটি গঠন করেছিল। রিপোর্টে বেশ কয়েকটি হতাশাজনক তথ্য উঠে আসে। বিশেষ করে লিঙ্গ বৈষম্যের বিষয়টি প্রকট হয়। এমনকী, রিপোর্টে বলা হয়, সাংবিধানিক দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয়েছে দেশ। এরপরই দেশের বিভিন্ন রাজ্যে প্রশাসনিক ও রাজনৈতিক স্তরে মহিলাদের প্রতিনিধিত্ব বাড়ানোর দাবি ওঠে। এমনকী আঞ্চলিক স্তরে সেই কাজ শুরুও হয়। তবে জাতীয় স্তরে মহিলা সংরক্ষণের প্রয়োজনীয়তাকে যিনি সামনে আনেন, তিনি দেশের প্রাক্তন ও প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধি । ঠিক কী করেছিলেন তিনি...
- 1987 সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধি কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মার্গারেট আলভারের নেতৃত্বে 14 জনের একটি কমিটি তৈরি করেন ৷
- ওই কমিটির প্রায় 353টি সুপারিশের মধ্যে অন্যতম নির্বাচনে মহিলাদের জন্য আসন সংরক্ষণ, বিশেষ করে পঞ্চায়েত ও পুরসভার ভোটে ৷
- 1992 সালে রাজীব গান্ধি নির্মিত কমিটির সুপারিশ মেনেই সংবিধানের 73 ও 74 তম সংশোধনের প্রস্তাব করেছিলেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী নরসিমা রাও ৷
- সংবিধানের সেই সংশোধনের মাধ্যমে পঞ্চায়েত ও পুরসভায় মহিলাদের জন্য বাধ্যতামমূলকভাবে 33 শতাংশ আসন সংরক্ষিত করা হয়েছিল ৷