হায়দরাবাদ, 23 ডিসেম্বর: করোনার (Covid) নতুন ভ্যারিয়্যান্ট বিএফ 7 (BF 7) ৷ এই ভ্যারিয়্যান্টেই চিনে (China) ক্রমশ মাথাচাড়া দিচ্ছে করোনা ৷ ভারতীয়দের মধ্যেও উদ্বেগ সৃষ্টি করছে এই ভ্যারিয়্যান্ট ৷ যদিও এখনও পর্যন্ত মাত্র চারজন আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া গিয়েছে ৷ তবে এখন থেকেই ভারত সরকার সতর্ক । এর আগে করোনার ডেল্টা (Delta) এবং ওমিক্রনের (Omicron) মতো ভ্যারিয়্যান্টের মোকাবিলা এই দেশে সফল ভাবে হয়েছিল ৷ তার পরও কেন এই ভ্যারিয়্যান্ট নিয়ে এত চিন্তিত সরকার ? কী এর বিশেষত্ব ?
বিএফ 7 ভ্যারিয়্যান্ট প্রধানত শ্বাস-প্রশ্বাসের সমস্যা তৈরি করে ৷ যার মানে এটি বুক এবং গলাতে বেশি প্রভাব ফেলে । এগুলো ছাড়াও জ্বর, সর্দি-কাশির মতো সমস্যাও ধরা পড়ছে । শ্বাসকষ্টের সমস্যা বেড়ে গেলে তা মৃত্যুর কারণও হতে পারে ৷ অনেকে আবার পেটে ব্যথা, বমি এবং ডায়রিয়ার মতো উপসর্গগুলিরও সম্মুখীন হচ্ছেন ৷ এর জন্য চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করা উচিত ৷ এই ধরনের উপসর্গ দেখা দিলে সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসা করানো উচিত ৷ এর ফলে ভাইরাস ছড়ানো বন্ধ হবে ৷
গত কয়েকদিন দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দু’শোর নিচে রয়েছে । স্বাস্থ্যকর্তারা জানিয়েছেন যে চলতি বছরের জুলাই থেকে অক্টোবরের মধ্যে অন্তত চারজন করোনার এই ভ্যারিয়্যান্টে (Covid New Variant) আক্রান্ত হয়েছে এই দেশে ৷ এর মধ্যে গুজরাতে তিনজন আক্রান্ত হয়েছেন ৷ আর চতুর্থ আক্রান্তকে পাওয়া যায় ওড়িশায় ৷ স্বাস্থ্য দফতর সূত্র বলছে, এই চারজন রোগীই সংক্রমণ থেকে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ।
আগের ভ্যারিয়্যান্টগুলির তুলনায়, এই বিএফ 7 এর তীব্রতা অনেক কম । কিন্তু খুব দ্রুতহারে ছড়িয়ে পড়ে ৷ আর সেটাই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের কাছে চিন্তার কারণ ৷ তাহলে দ্রুত অনেকেই করোনা আক্রান্ত হবেন ৷ যদি ভারতে এটা ছড়িয়ে পড়ে, তাহলে আক্রান্তের সংখ্যা আগের ভ্যারিয়্যান্টগুলিতে আক্রান্তের সংখ্যার চেয়ে অনেক বেশি হতে পারে ৷ তখন চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে আরও কঠিন হয়ে যাবে ৷