নয়াদিল্লি, 18 ডিসেম্বর: 'ইন্ডিয়া' জোটের প্রধানমন্ত্রীর মুখ কে হবেন বা জোটের প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী কে, তা নিয়ে সোমবার মুখ খুললেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় ৷ একই সঙ্গে, কংগ্রেসের সঙ্গে নির্বাচনে যেতে আপত্তি না থাকলেও, বাংলার ক্ষেত্রে সমীকরণ কী হবে তা অবশ্য খোলসা করেলন না তৃণমূল সুপ্রিমো ৷ এদিন মমতা বলেন, "কারও সঙ্গে আমার ব্যক্তিগত কোনও সমস্যা নেই। বিজেপির সঙ্গে আমার আদর্শগত সমস্যা আছে ৷"
এদিন বঙ্গ ভবনে তৃণমূলের সাংসদদের সঙ্গে বৈঠক করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় ৷ মূলত জাতীয় রাজনীতিতে দলীয় রণকৌশল কী হবে তা নিয়েই এদিন বৈঠক করেন তৃণমূল নেত্রী ৷ সেই বৈঠকের পর ইন্ডিয়া জোট মিটিং সম্পর্কে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় বলেন, "আমি মনে করি সবাই একসঙ্গে থাকবে। আসন ভাগাভাগি বিষয়ে আলোচনা করার একটি সুযোগ রয়েছে ৷ আগামিকাল এটি বিস্তারিত আলোচনা করার জন্য আমাদের সামনে সুযোগ আছে ৷ অধিকাংশ রাজনৈতিক দল ওয়ান ইস্টু ওয়ান রেশিয়োতে আসন ভাগাভাগি করতে রাজি ৷ হয়তো দু-একজন একমত নাও হতে পারেন ৷ আমার কোনও নীতিবাক্য বা প্রতিহিংসা নেই ৷"
অন্যদিকে, যেভাবে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধিকে প্রধানমন্ত্রী প্রোজেক্ট করছে তাঁর দল সে সম্পর্কে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, "নির্বাচনের পরেই সবাই একসঙ্গে সিদ্ধান্ত নেবে প্রধানমন্ত্রী কে হবেন।" একই সঙ্গে, রাহুল গান্ধির ভূমিকা নিয়ে কংগ্রেস তাঁর সঙ্গে কোনও পরামর্শ করেছে কি না, জানতে চাইলে তিনি বলেন, "আমি অন্য কোনও দলের কথা বলতে পারব না ৷ 2024 সালের নির্বাচনের পরেই ইন্ডিয়া জোটের প্রধানমন্ত্রী করা হবে ৷"
তবে জোটে আসন ভাগাভাগিতে দেরি হওয়া নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "এটা কোনও দেরি নয়। একদম না হওয়ার চেয়ে, একটু দেরি হওয়া ভাল ৷" অন্যদিকে, তৃণমূল নেত্রী মহুয়া মৈত্রকে সংসদ থেকে বহিষ্কার করার বিষয়েও এদিন মুখ খুলেছেন ৷ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "এটা অত্যন্ত খারাপ ঘটনা ৷ তাঁকে আত্মপক্ষ সমর্থন করার অনুমতিও দেওয়া হয়নি। এটিও খুবই দুর্ভাগ্যজনক, যখন বিরোধীরা তাদের মতামত তুলে ধরেন তখন তাদের বহিষ্কার করা হয়। আপনি যদি বিজেপিতে থাকেন, তাহলেই আপনি খুব ভালো ৷"