নিউ দিল্লি, 5 মে : কোভিড-19-কে "সকলের সমস্যা" আর "আন্তর্জাতিক সংকট" বলে চিহ্নিত করলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর ৷ একটি সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি জানালেন, ভারত এর আগে সারা দুনিয়াকে ওষুধ আর ভ্যাকসিন দিয়ে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছিল, আজ ভারতের সংকটকালীন পরিস্থিতিতে সেটাই ফিরে পাচ্ছে দেশ ৷
তিনি বলেন, "আমি বলেছি কোভিড সকলের সমস্যা ৷ গত বছরের দিকে তাকিয়ে দেখুন যখন প্রথম এটা এল এমনকি এ বছরেও, আমরা হাইড্রোক্সিক্লোরোকুইন, প্যারাসিটামল পাঠিয়েছি আমেরিকায়, সিঙ্গাপুরে, ইউরোপিয়ান দেশগুলিতে ৷ আমরা কুয়েতে মেডিক্যাল দল পাঠিয়েছি, কিছু দেশকে ভ্যাকসিন দিয়েছি, এখন যেটাকে সাহায্য বলা হচ্ছে, আমরা সেটাকে বন্ধুত্ব বলছি, সহযোগিতা বলছি ৷"
ভারতকে বিভিন্ন দেশ করোনা-সরঞ্জাম দিয়ে সাহায্য করছে, তাহলে এবার কি ভারতের বিদেশ নীতিতে কোনো বদল হয়েছে ? এর উত্তরে তিনি বলেন, "আমার মতে এই পরিস্থিতিটাকে এই ভাবে দেখানো উচিত নয় ৷"
আরও পড়ুন: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে শুভেচ্ছা প্রধানমন্ত্রীর
"আজ আমরা যে সমস্যার মুখোমুখি হয়েছি, তার অ-সাধারণত্ব বুঝতে হবে আমাদের ৷ তাই এটা আগের মতো নয় বললে এটাও দেখতে হবে যে আগে কোভিড ছিল না ৷ আমাদের জীবনে কোনোদিন এরকম হয়নি ৷ আমি আপনার থেকে বয়সে বড় ৷ বিশ্বজুড়ে এই রকম ব্যাপক আকারে সংকট দেখিনি কখনো ৷ এতে মানুষকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে ৷ তাই এই যে সাহায্য নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে, তাতে মনে হচ্ছে মানুষ এই সমস্যাটা ঠিক কেমন, তার ধারণা করতে পারছে না ৷"
একসময় দেশের বিদেশ সচিব ছিলেন জয়শঙ্কর ৷ তিনি তাঁর ক্ষমতা অনুযায়ী যথাসাধ্য চেষ্টা করবেন "মানুষের কাছে সাহায্য পৌঁছে দিতে" ৷
"দিল্লিতে এখন যা অবস্থা দেখছি, মানুষকে সাহায্য করতে আমি আমার সব সম্পর্কগুলো কাজে লাগিয়ে যথাসাধ্য চেষ্টা করব ৷ অতীতে দায়িত্বে থেকে আমি কী করেছি, তা মানুষ জানে ৷ এট করতে ভালো লাগবে আমার ৷ এমন মানুষ আছেন যাঁরা অন্তত বলবেন, 'আমি নৈতিকভাবে আপনার সঙ্গে আছি ৷ আমি যা করছি তার একটা সীমাবদ্ধতা আছে বলে মনে হয় আমার ৷'"
"বাইরে থেকে সহযোগিতা পাচ্ছি আমরা ৷ আমার জন্য, আমরা একটা লক্ষ্য় আছে ৷ আমার লোকেরা কোভিড-19-এর দ্বিতীয় ঢেউয়ের ধাক্কায় খুব কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে ৷ আমি বিদেশমন্ত্রী, তাই এমন একটা দপ্তরের নেতৃত্বে রয়েছি, যেখানে সারা বিশ্বের সঙ্গে একটা সম্পর্ক রয়েছে ৷ বহু বহু বছর ধরে আমি যা কিছু সঞ্চয় করতে পেরেছি, সে সব উজাড় করে দেব ৷ এটা আমার কর্তব্য ৷ এটা স্বাভাবিক ৷"