কলকাতা, 31 অগস্ট : গণেশ চতুর্থী (Ganseh Chaturthi) ৷ সিদ্ধি বিনায়কের উৎসব ৷ প্রতিবারের মতো এবার দেশজুড়ে পালিত হয়েছে এই উৎসব ৷ এটা আসলে সিদ্ধিদাতার গণেশের জন্মোৎসব ৷ ধর্মীয় বিশ্বাস অনুসারে, এদিন শিব ও পার্বতীর পুত্র গজানন ভক্তদের মনোবাঞ্ছা পূরণ করতে মর্ত্যে অবতীর্ণ হন ৷
তবে পঞ্জিকা অনুসারে বিশেষ সময়ে এই পুজো করতে হয় ৷ তবেই বুদ্ধি, সমৃদ্ধি ও সৌভাগ্য পাওয়া যায় ৷ কারণ, ধর্মীয় বিশ্বাস অনুযায়ী গণেশ হল হিন্দুদের বুদ্ধি, সমৃদ্ধি ও সৌভাগ্যের সর্বোচ্চ দেবতা ৷
কী বলছে হিন্দু পঞ্জিকা (Hindu Pancahng) ?
হিন্দু পঞ্জিকা অনুযায়ী, ভাদ্র মাসের শুক্ল চতুর্থী তিথিতে গণেশের পুজো করা হয় ৷ দুপুরেই এই পুজোর জন্য আদর্শ সময় ৷ যদি চতুর্থী একদিন দুপুরে শুরু হয়ে পরের দিন দুপুরে শেষ হয়, তাহলে প্রথম দিনই এই উৎসব শেষ করার বিধান দেওয়া হয়েছে পঞ্জিকায় ৷
এই বছর ভাদ্র মাসের শুক্ল চতুর্থী তিথি শুরু হয়েছিল 30 অগস্ট দুপুর 3টে 34 মিনিটে ৷ আর শেষ হয়েছে দুপুর 31 অগস্ট দুপুর 3টে 23 মিনিটে ৷ সেই কারণে এবার 31 অগস্ট মধ্যাহ্ন থেকে দুপুরের মধ্যে পুজো হয়েছে ৷ এতটা পড়ার পর নিশ্চয় জানতে ইচ্ছা করছে যে কেন মধ্যহ্নেই গণেশ পুজোর (Ganesh Puja) রীতি রয়েছে ? পদ্মপুরাণ অনুসারে ভগবান গণেশের জন্ম স্বাতী নক্ষত্রে । সময়টা ছিল মধ্যাহ্ন ৷ সেই কারণেই দুপুরে পূজিত হন গণপতি ৷
তাছাড়া হিন্দুদের যেকোনও উৎসবে পঞ্জিকার গুরুত্ব অপরিসীম ৷ পঞ্জিকা মেনেই সব কিছু শুভ-অশুভ নির্ধারণ করা হয় ৷ তাই প্রতিবছর হিন্দু পঞ্জিকাতেই লেখা থাকে যে কোন তিথির কতক্ষণ শুভ আর কতক্ষণ অশুভ ৷ গণেশ চতুর্থীর জন্যও সেই নিয়ম বরাবর থাকে ৷ এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি যথারীতি ৷
এখানে উল্লেখ করা প্রয়োজন, গণেশ চতুর্থীতে উৎসব পালন করা হয় মূলত মহারাষ্ট্র, গোয়া, কর্নাটক, রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ, তামিলনাড়ু, অন্ধ্রপ্রদেশ, তেলঙ্গানা, ওড়িশা, পশ্চিমবঙ্গ, গুজরাত ও ছত্তীশগড়ে৷ তবে মারাঠিদের মধ্যে এই উৎসবের গুরুত্ব অনেক বেশি ৷ এবার সর্বত্রই মহাসমারোহে পালিত হয়েছে গণেশ উৎসব (Ganesh Utsav) ৷ কারণ, করোনা অতিমারির জেরে গত দু’বছর এই উৎসব পালন করা যায়নি ৷ মহারাষ্ট্র-সহ বেশ কিছু জায়গায় দশদিন ধরে এই উৎসব পালন করা হয় ৷
আরও পড়ুন :কাশীতে চোখ বন্ধ করে ক্যানভাসে গণপতি বাপ্পাকে তুলে ধরলেন এক ভক্ত