সাংলি (মহারাষ্ট্র), 9 ফেব্রুয়ারি: তিমির বমি (Whale Vomit Seized) পাচারে জড়িত একটি চক্রকে ধরল মহারাষ্ট্রের সাংলি থানার অপরাধ দমন শাখা । চক্রের দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে ৷ তাঁদের কাছ থেকে তিমির প্রায় 6.5 কোটি টাকার বমি বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ (Whale vomit worth six and a half crore seized)৷
কোলাপুর জোনের (Maharashtra News) স্পেশাল ইন্সপেক্টর জেনারেল সুনীল ফুলারি এই তথ্য জানিয়েছেন । স্থানীয় অপরাধ দমন শাখার একটি দল সাংলি শহরের শামরাও নগরে এপিজে আবদুল কলেজের কাছে তিমির নিষিদ্ধ বমি বিক্রি করতে আসছে বলে খবর পায় । পুলিশ সুপার বাসবরাজ তেলির নেতৃত্বে স্থানীয় থানার একটি দল অভিযুক্তদের ধরার জন্য ফাঁদ পাতে ৷
এরপর হাতেনাতে আটক করা হয় দুই সন্দেহভাজনকে ৷ তাঁদের নাম সেলিম প্যাটেল ও আকবর শেখ ৷ তাঁদের জিজ্ঞাসা করা হয় কেন তাঁরা সেখানে এসেছেন ৷ তখন দুজনেই বলেন যে তাঁরা বিমানে উড়ে অন্যত্র যাবেন ৷ এরপর স্থানীয় অপরাধ তদন্ত শাখার দল আকবর শেখের দেহে তল্লাশি চালালে তারা একটি সাদা বাক্সে আটটি হলুদ ও বাদামি রঙের আয়তাকার বস্তু দেখতে পায় ।
মহারাষ্ট্রে তিমির বমি উদ্ধার বন দফতরের আধিকারিকদের ঘটনাস্থলে ডাকা হয় ৷ তাঁরা পরীক্ষা-নীরিক্ষা করে জানান যে, ওই পদার্থটি আসলে সাড়ে পাঁচ কেজি ওজনের বমি । তিমির এই বমির আন্তর্জাতিক বাজারে মূল্য প্রায় সাড়ে 6 কোটি টাকা ৷
আরও পড়ুন:বসত লাগোয়া জঙ্গলে ফণা তুলল গোখরো, উদ্ধার করলেন বনকর্মীরা
সিন্ধুদুর্গ থেকে আসা প্যাটেল এবং আকবর শেখকে তখনই গ্রেফতার করা হয় বলে জানিয়েছেন কোলাপুর এলাকার পুলিশের স্পেশাল ইনস্পেক্টর জেনারেল সুনীল ফুলারি । তিনি বলেন, সাংলি সিটি পুলিশ এলাকায় বন্যপ্রাণী বিধি 172-এর অধীনে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে । অ্যাম্বারগ্রিস নামে পরিচিত তিমির বমি ৷ সাংলিতে উদ্ধার তিমির বমির ওজন প্রায় সাড়ে পাঁচ কেজি ৷ এই পদার্থটি বন্যপ্রাণী আইনে নিষিদ্ধ ।
আন্তর্জাতিক বাজারে এই পদার্থের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে ৷ তাই এর জন্য একটি গোপন বাজার রয়েছে । প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, মালবন থেকে সাংলিতে বিক্রির জন্য তিমি আনা হয়েছিল । কোলাপুর অঞ্চলের স্পেশাল ইনস্পেক্টর জেনারেল সুনীল ফুলারি বলেছেন যে, সাংলি সিটি পুলিশ এখন বন বিভাগের সাহায্য নিয়ে এ বিষয়ে আরও তদন্ত করবে ৷