কলকাতা, 31 মার্চ: বাংলাকে অর্থনৈতিকভাবে অবরোধের চেষ্টা হলে পালটা রাজনৈতিক-অর্থনৈতিক-সাংস্কৃতিকভাবে অবরোধ করার ক্ষমতা আছে রাজ্য়ের শাসকদলেরও ৷ প্রয়োজনে বিরোধীরা জোটবদ্ধভাবে দিল্লিতে গিয়ে ধরনায় বসবে বলেও হুঁশিয়ারী দিলেন মুখ্য়মন্ত্রী ৷ দু'দিনের ধরনার শেষে এই ভাষাতেই কেন্দ্রের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায় ৷ পাশাপাশি বৃহস্পতিবার ধরনার শেষের দিনে কেন্দ্রের আচরণের বিরুদ্ধে মুখ্য়মন্ত্রীর গলায় চাপা ক্ষোভও শোনা গিয়েছে ৷ তাঁর কথায়, "দু'দিন হয়ে গেল একটা চুনোপুটি নেতাও ফোন করে বলল না, আচ্ছা দেখছি।" পাশাপাশি তাঁর অভিযোগ, বাংলার বিজেপি নেতাদের ষড়যন্ত্রেই কেন্দ্রের থেকে প্রাপ্য টাকা পাচ্ছে না রাজ্য।
তিনি বলেন, "অনেক ভদ্রতা করেছি, আর নয়।" দু'দিনের ধরনা কর্মসূচির শেষে এভাবেই কেন্দ্রেীয় সরকারকে বাক্যবাণে বিদ্ধ করলেন। প্রসঙ্গত কেন্দ্রীয় বঞ্চনা এবং রাজ্যের ন্যায্য পাওনা না দেওয়ার প্রতিবাদে রেড রোডে আম্বেদকর মূর্তির পাদদেশে দু'দিনের ধরনা কর্মসূচি নিয়েছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মূল উদ্দেশ্য ছিল এই ধারনা কর্মসূচির মাধ্যমে কেন্দ্রের থেকে দাবি আদায় করা। এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্যে রাজনৈতিক মহলের একাংশ কোথাও যেন একটা হতাশার সুর শুনতে পেয়েছেন।
এবার দু'দিনের এই ধরনা কর্মসূচিতে বারবারই তৃণমূল নেত্রীর মুখে ঘুরেফিরে এসেছেন 'নন্দলাল' প্রসঙ্গ। কেন্দ্রীয় সরকার যে জনবিরোধী নীতি নিচ্ছে 'নন্দলাল' স্লোগান তুলে তার তীব্র কটাক্ষ করেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হুঁশিয়ারির সুরে জানান, বাংলার প্রতি এমনই আর্থিক বঞ্চনা অব্যাহত থাকলে এবার দিল্লি গিয়ে ধরনায় বসবেন। এবং তা করলে শুধু বাংলা থেকে লোক যাবে তা নয়, অন্য রাজ্যের লোকও আসবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "আমাকে অনেকে বলেছেন ধরনা না দিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে কথা বললেন না কেন ? আমি তাঁদের বলেছি, আর কতবার বলব? আমি নিজে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কয়েকবার কথা বলেছি। কলকাতায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এসেছিলেন, তাঁকে বলেছি। আর কতবার? বিরোধী দলগুলো কি কেন্দ্রের চাকর? ওঁরা কীভাবে, আমরা বন্ডেড লেবার ? বিরোধী মানেই চাকর !"