কলকাতা, 27 ফেব্রুয়ারি : ফের একটা টুইট। ফের সাতসকালে খবরের শিরোনামে তৃণমূলের ভোট কৌশলী প্রশান্ত কিশোর।
ভোটের দিন ঘোষণা হয়েছে গতকাল। তার পরেরদিন অর্থাৎ আজ সকালে ফের পুরনো টুইটের কথা স্মরণ করালেন প্রশান্ত কিশোর। আজ সকালে করা টুইটে প্রশান্ত লেখেন, "গণতন্ত্রের সবথেকে বড় লড়াই হতে চলেছে বাংলায়। আর তাতে বাংলার মানুষ সঠিক সময়ে সঠিক জায়গায় নিজেদের বার্তা দিয়ে দেবেন।" একই সঙ্গে তিনি, "লেখেন 2 মে আমার আগের টুইটটির কথা মনে রাখবেন।"
কী লিখেছিলেন পুরনো টুইটে?
21 ডিসেম্বর সকাল 10টা 22 মিনিটে যে টুইট করেন প্রশান্ত কিশোর তাতে লিখেছেন, আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির আসন সংখ্য়া 2 অঙ্ক পেরিয়ে তিন অঙ্ক যাবে না। একপ্রকার চ্য়ালেঞ্জ দিয়ে তিনি লিখেছিলেন, "যদি বিজেপি এর থেকে ভালো ফল করে তাহলে আমি এই জায়গা ছেড়ে দেব।"
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ মেদিনীপুরের জনসভা থেকে হুংকার দিয়ে বলেছিলেন আসন্ন নির্বাচনে 200টিরও বেশি আসন পেয়ে ক্ষমতায় আসবে বিজেপি। তারপরেই অমিতের নাম না করে টুইটারে খোঁচা দেন প্রশান্ত। তাঁর কথায় 200 তো দূরের কথা 100টি আসনও পাবে না বিজেপি। টুইটের তীব্রতা এতটাই বেশি ছিল যে, প্রশান্তকে পাল্টা দিতে নামানো হয় বাবুল সুপ্রিয়, অরবিন্দ মেনন, কৈলাস বিজয়বর্গী সহ বেশ কয়েকজন প্রথম সারির নেতাকে। প্রায় 2মাস কেটে যাওয়ার পর পুরনো টুইটের রেস ধরে ফের টুইট করেন প্রশান্ত।
শুধু অমিত নন, কয়েকদিন আগে রাজ্য়ে এসে একই দাবি করেছেন নরেন্দ্র মোদী। বিজেপি ক্ষমতায় আসতে চলেছে বলে দাবি তাঁর। কিন্তু প্রশান্ত কিশোর কী হিসেবে বলছেন 100 পার করতে পারবে না বিজেপি?
এবিষয়ে দু-ভাবে বিভক্ত রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। একাংশ মনে করছেন, প্রশান্ত কিশোরের এই টুইট স্রেফ কর্মীদের উজ্জীবিত রাখার জন্য। এর পিছনে অন্য় কোনও কারণ নেই। অন্য় অংশ অবশ্য় এটাকে বেশ গুরুত্ব দিয়ে দেখছে। তাঁদের কী মত? তাঁরা জানিয়েছেন প্রায় 2 বছর ধরে প্রশান্ত কিশোরের সংস্থা রাজ্য় চষে বেরিয়েছে এবং এখনও তাই করছে। নিয়মিত চলছে সমীক্ষা। সেখান থেকে হয়তো কোনও পজিটিভ রিপোর্ট পেয়েই প্রশান্ত এই টুইট করেছেন।