নয়াদিল্লি, 29 অগস্ট:তাঁকে দল ছাড়তে বাধ্য করা হয়েছে ৷ কংগ্রেস থেকে পদত্যাগ নিয়ে এমনই বিস্ফোরক অভিযোগ আনলেন প্রবীণ নেতা গুলাম নবি আজাদ (Ghulam Nabi Azad)৷ তিনি বলেছেন, "আমার বাড়ি ছাড়তে আমাকে বাধ্য করা হয়েছে ৷"
তাঁর কংগ্রেস থেকে পদত্যাগ প্রসঙ্গে এ দিন ফের সোনিয়া গান্ধির দলকে একহাত নেন গুলাম নবি আজাদ ৷ নয়াদিল্লিতে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, "মোদি একটা অজুহাত ৷ যে দিন থেকে জি-23 চিঠি লেখা হয়েছিল, সে দিন থেকে ওদের আমাকে নিয়ে সমস্যা ৷ ওদের বিরুদ্ধে কেউ লিখুক বা প্রশ্ন তুলুক, এটা কখনও ওরা চায়নি ৷" তাঁর কথায়, "বহু (কংগ্রেসের) বৈঠক হয়েছে ৷ কিন্তু কোনওটায় একটাও পরামর্শ আসেনি ৷"
গত শুক্রবার কংগ্রেস (Congress) থেকে ইস্তফা দিয়ে জাতীয় রাজনীতিতে হইচই ফেলে দেন গুলাম নবি আজাদ (Ghulam Nabi Azad) ৷ পাঁচ পাতার পদত্যাগপত্রে তিনি কাঠগড়ায় তোলেন রাহুল গান্ধিকে (Rahul Gandhi) ৷ ওয়েনাড়ের সাংসদ রাহুলের (Azad slams Rahul Gandhi) শিশুসুলভ আচরণের জন্যই কংগ্রেসের এত দুর্দশা বলে তিনি অন্তর্বর্তী সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধিকে (Sonia Gandhi) পাঠানো ওই চিঠিতে দাবি করেন ৷
আরও পড়ুন:নতুন দল গড়বেন গুলাম নবি, একান্ত সাক্ষাৎকারে দাবি ফারুক আবদুল্লার
আজাদের পদত্যাগের (Ghulam Nabi Azad slams Congress) পর একদিন কাটতে না কাটতেই কংগ্রেসের ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে দলের সভাপতি নির্বাচনের দিনক্ষণ নির্ধারিত হয় ৷ যা ছিল দলের অন্দরে দীর্ঘদিনের দাবি ৷ জানা যায়, আগামী 17 অক্টোবর হবে কংগ্রেসের সভাপতি নির্বাচন ৷ ভোটগণনা হবে 19 অক্টোবর ৷ নির্বাচনের মনোনয়ন পত্র পেশ করা শুরু হবে 24 সেপ্টেম্বর থেকে ৷ মনোনয়নপত্র পেশ করার শেষ তারিখ 30 সেপ্টেম্বর ৷ নির্বাচনের বিজ্ঞপ্তি জারি হবে 22 সেপ্টেম্বর ৷ প্রার্থীরা 8 অক্টোবর পর্যন্ত চাইলে মনোনয়ন প্রত্যাহার করতে পারবেন ৷
কংগ্রেস থেকে পদত্যাগ নিয়ে বিস্ফোরক আজাদ গুলাম নবি আজাদ কংগ্রেসের জি-23 ভুক্ত নেতা হিসেবে পরিচিত ছিলেন ৷ ওই 23 জন নেতাই সোনিয়া গান্ধিকে চিঠি দিয়েছিলেন কংগ্রেসের সাংগঠনিক নির্বাচন করানোর জন্য ৷ পদত্যাগপত্রে আজাদ দাবি করেছিলেন, রিমোট কন্ট্রোল মডেল এক সময় ইউপিএ সরকারের (UPA Government) প্রাতিষ্ঠানিক অখণ্ডতাকে নষ্ট করে দিয়েছিল ৷ এখন তা কংগ্রেসকে নষ্ট করে দিয়েছে ৷ 2013 সালে দলের সভাপতি হওয়ার পর থেকে কংগ্রেসের পুরনো পরম্পরাকে সম্পূর্ণ নষ্ট করে দিয়েছেন রাহুল গান্ধি ৷ কংগ্রেসে এখন সিদ্ধান্ত হয় তিনি নেন অথবা তাঁর নিরাপত্তারক্ষী, ব্যক্তিগত সচিবেরা নেন ৷ কংগ্রেসের সিনিয়র নেতাদের দলে আর কোনও গুরুত্ব নেই বলেও তিনি দাবি করেছেন ৷