হামিরপুর (উত্তরপ্রদেশ), 30 এপ্রিল: কে বলেছে পুলিশ মানবিক হয় না ? পুলিশের মানবিক রূপ নেই । এই ঘটনা জানলে মতামত বদলাতে বাধ্য হবেন আপনিও। বিচারাধীন বন্দির প্রতি একজন পুলিশের এত দয়ালু মনোভাব, মনে রাখার মতো । উত্তরপ্রদেশের হামিরপুর এলাকায় বন্দির তেষ্টা মেটাতে মদ্যপানের ব্যবস্থা করে দিল এক পুলিশ । ঘটনার ছবি সামনে আসতেই নিমেষে ভাইরাল নেটমাধ্যমে ।
বিচারাধীন বন্দিকে শুধুমাত্র মদ কিনতে নিয়ে গিয়েছেন তা নয়, অভিযুক্ত বন্দি যাতে পালিয়ে না-যায়, তার জন্য পিছনে গার্ডও দিয়েছেন ওই পুলিশকর্মী । সূত্রের খবর, সিআরপিসি-র 151 ধারায় অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছিল । আর এই ঘটনাটি ঘটেছে যখন বন্দিকে পুলিশ স্টেশন থেকে আদালতের উদ্দেশ্যে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল ।
আরও পড়ুন: সমকামী বিয়ের বৈধতায় সায় নেই সাধুদের ! দেখা করবেন মোদি-মুর্মুর সঙ্গে
ঘটনাটি ঘটেছে হামিরপুরের কিং রোডে । বিষয়টির সাক্ষী থেকেছেন একজন পথযাত্রী । যিনি এই ঘটনার ছবিও তুলেছেন । তারপর সেটি সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট করতেই নিমেষে ভাইরাল । ছবিটি পোস্ট করে ক্যাপশনে তিনি লিখেছেন, "অপরাধীর খেয়াল রাখে এমন পুলিশ আর কোনও রাজ্যে কেউ দেখেননি । আদালতে নিয়ে যাওয়ার সময় অপরাধীর জল তেষ্টা পায়। পাশেই সুরার দোকান দেখে মনের মধ্যে লাড্ডু ফুটছিল । তারপর আর কী, পুলিশের মনও খুব নরম , তাড়াতাড়ি আপনার সেবায় নিয়োজিত উত্তরপ্রদেশ পুলিশ ।"
ঘটনার কথা প্রকাশ্যে আসতেই হামিরপুর এসপি জানিয়েছেন, ঘটনার সত্যতা যাচাইয়ের জন্য অভিযুক্ত পুলিশকে জিজ্ঞাসাবাদ করা শুরু হয়েছে । বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে । তিনি বলেন, "আমরা অভিযুক্ত পুলিশের বিরুদ্ধে নির্দেশ জারি করেছি । এমনকী ওই পুলিশকর্মীর বিরুদ্ধেও এই ঘটনার সাপেক্ষে তদন্ত শুরু করা হবে ।"
এই ঘটনা প্রথমবার নয়, উত্তরপ্রদেশের মতো জায়গায় পুলিশের অপরাধীদের সঙ্গে এহেন ব্যবহার আগেও দেখা গিয়েছে । মার্চেই একটি ভিডিয়ো সামনে এসেছিল, যেখানে চারজন পুলিশ কর্মী একজন বন্দিকে লখনউয়ের শপিংমলে নিয়ে গিয়েছিলেন । ঘটনায় ওই পুলিশকর্মীদের সাসপেন্ড করা হয়েছিল । যদিও বর্তমানে যোগীরাজ্যের পুলিশ শিরোনামে আতিক আহমেদ খুনের ঘটনায় । পুলিশের সামনেই এনকাউন্টারের মারা হয়েছে গ্যাংস্টারকে । তার মধ্যেই এই ঘটনায় নিন্দার ঝড় উঠেছে দেশজুড়ে ।