নয়াদিল্লি, 20 ডিসেম্বর: বৃত্ত সম্পন্ন হওয়া বলতে বোধহয় এটাকেই বোঝায়। যাঁর হাত ধরে দেশে রাম মন্দির নির্মাণের আন্দোলন বিরাট আকার নিয়েছিল সেই লালকৃষ্ণ আদবানি এবার ডাক পেলেন মন্দিরের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে। মন্দিরের শিলান্যাস অনুষ্ঠানে তঁকে না-ডাকা নিয়ে খানিক বিতর্ক হয়েছিল। এবারও জল্পনার আবহেই ডাক পেলেন দেশের এই প্রাক্তন উপ-প্রধানমন্ত্রী। তাঁর পাশাপাশি, বিজেপির আরও এক প্রবীণ নেতা তথা প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মুরলী মনোহর যোশীকেও মঙ্গলবার আমন্ত্রণ জানিয়েছে বিশ্বহিন্দু পরিষদ।
ঠিক একদিন আগে এই দুই নেতাকে অনুষ্ঠানে অনুপস্থিত থাকতে অনুরোধ করেন বিশ্বহিন্দু পরিষদের সাধারণ সম্পাদক চম্পত রাই।তবে সেই বক্তব্য প্রকাশ্যে আসার কিছুক্ষণের মধ্যেই বিশ্বহিন্দু পরিষদের সভাপতি অলোক কুমার আনুষ্ঠানিকভাবে আমন্ত্রণ জানান। পাশাপাশি, তিনি জানান, এই দুই নেতাই শারীরিক অসুস্থতা থাকলেও অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার চেষ্টা করবেন। 22 জানুয়ারি রাম মন্দিরের উদ্বোধন ঘিরে দেশজুড়ে সাজো সাজো রব। ইতিমধ্যেই বিভিন্ন ক্ষেত্রের একাধিক বিশিষ্ট ব্যক্তিকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। এবার সেই তালিকায় জুড়ল আদবানি এবং যোশীর নাম। পরে অলোক কুমার বলেন, "রাম মন্দির আন্দোলনের দুই পুরোধা লালকৃষ্ণ আদবানি এবং মুরলী মনোহর যোশীকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে। দু'জনেই আসার চেষ্টা করবেন বলে জানিয়েছেন।"
আটের দশকের মধ্যভাগে নতুন করে রাম মন্দির নির্মাণের দাবিতে শুরু হওয়া আন্দোলনে জোয়ার আসে। 1984 সালের লোকসভা নির্বাচনে 2টি আসন পাওয়া বিজেপি 1989 সালের লোকসভায় 79টি আসনে পৌঁছে যায়। তৎকালীন বিজেপি সভাপতি হিসেবে আদবানি মনে করেন বিশ্বহিন্দু পরিষদের রাম মন্দির আন্দোলনকে সাহায্য করেই সাফল্য মিলেছে। সেই ভাবনা থেকে আদবানি মন্দির নির্মাণের দাবিকে সামনে রেখে রথযাত্রা শুরু করেন।