নয়াদিল্লি, 19 নভেম্বর:উত্তরাখণ্ডের উত্তরকাশীতে টানেল বিপর্যয়ের পর 8 দিন কেটে গেলেও এখনও উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি 41 জন শ্রমিককে ৷ 12 নভেম্বর ভোরের দিকে ভেঙে পড়েছিল নির্মীয়মাণ সিল্কইয়ারা-বারকোট টানেলের একাংশ ৷ চারধাম প্রজেক্টের অন্তর্গত 4.5 কিমি দীর্ঘ এই সুরঙ্গ পথটি তৈরি হয়ে গেলে সারাবছরই চারধাম সফর করা সম্ভব হবে ৷ যমুনোত্রী জাতীয় সড়কের অন্তর্গত এই সুড়ঙ্গটি ৷ সরকারের দাবি, এই সুরঙ্গ পথ নির্মাণ শেষ হয়ে গেলে যমুনোত্রীতে যাওয়ার পথ প্রায় 21 কিমি কমে আসবে, প্রায় দেড়ঘণ্টা সফর বাঁচবে ৷
এতদিন ওয়াকি-টকির মাধ্যমে ওই সুড়ঙ্গে আটকে পড়া শ্রমিকদের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছিল ৷ কিন্তু শ্রমিকদের কাছে থাকা ওয়াকি-টকির ব্যাটারি শেষ হয়ে যাওয়ায় সেই যোগাযোগও বন্ধ হয়ে গিয়েছে ৷ বর্তমানে, আটকে থাকা শ্রমিকদের সঙ্গে উদ্ধারকারীদের কথা হচ্ছে একটি পাইপের মাধ্যমে ৷ শ্রমিকদের কাছে জল, ওষুধ, খাবার পৌঁছে দিতে ওই ড্রিল করে ওই পাইপটি শ্রমিকদের কাছে পাঠানো হয়েছে ৷ এই অবস্থায় একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন হল এই আটকে পড়া অবস্থায় ওই শ্রমিকদের মানসিক অবস্থা কেমন আছে ৷
বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের রিপোর্ট অনুযায়ী, নিয়মিত ওই পাইপের মাধ্যমেই খবরাখবর নেওয়া হচ্ছে ও যোগাযোগ রাখা হচ্ছে ৷ জানা গিয়েছে শ্রমিকরা শুধু উদ্ধারকারীদের প্রশ্ন করছেন, "কবে আমাদের উদ্ধার করা হবে?" কিন্তু উদ্ধারের কোনও একটি পরিকল্পনার কথা ব্যর্থ হলে এবং তা যদি ওই আটকে থাকা শ্রমিকরা জানতে পারেন তাহলে তাঁদের মনোবলে প্রভাব পড়বে বলেই মনে করছেন মনোবিদরা ৷
এই প্রসঙ্গে ইটিভি ভারতকে গুরুগ্রামের মারেঙ্গো এশিয়া হাসপাতালের মনোবিদ মুনিয়া ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, এই অবস্থায় যদি ওই শ্রমিকরা জানতে পারেন যে তাঁদের উদ্ধারের পরিকল্পনা ব্যর্থ হচ্ছে, তাহলে তাঁদের ভীত হওয়া স্বাভাবিক ৷ জীবন নিয়ে সংশয়ের মাঝে উদ্বেগ আসা স্বাভাবিক ৷