হায়দরাবাদ, 24 নভেম্বর: উত্তরাখণ্ডের টানেলে শ্রমিকদের উদ্ধার কাজ দ্রুত গতিতেই চলছে ৷ কিন্তু উদ্ধারের পর ওই শ্রমিকদের যাতে কোনওভাবেই অসুবিধা না হয় তা নিয়েই এখন বেশি ব্যস্ত রাজ্য সরকার ৷ যেকোনও মুহূর্তে সুখবর আসতে পারে বলে জানিয়ে রাজ্যের অর্থমন্ত্রী প্রেমচাঁদ আগরওয়াল বলেন, "আমরা স্থানীয় চিনিয়ালিসৌরে হাসপাতালে 41টি শয্যা প্রস্তুত রেখেছি ৷ যদি সকলে স্বাভাবিক থাকে তবে তাদের সেখানে ভর্তি করা হবে ৷ আশপাশের হাসপাতালগুলিকেও সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে ৷ আমি নিজে চিনিয়ালিসৌরের হাসপাতাল পরিদর্শন করেছি ৷"
একই সঙ্গে, তাঁর দাবি, যে 41 জন শ্রমিক টানেলের মধ্যে এখনও আটকে আছে তাদের মধ্যে কারও অবস্থার অবনতি হলে দ্রুত যাতে ব্যবস্থা নেওয়া যায় তারজন্য দেরহাদুন এবং হৃষিকেশের এইমস-কেও সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে ৷ এদিন অর্থমন্ত্রী বলেন, "মুখ্যমন্ত্রী, কেন্দ্রীয়মন্ত্রী ভিকে সিং সকলেই উপস্থিত আছেন ৷ স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনের আধিকারিকরাও সজাগ আছে ৷ এই অবস্থায় যেকোনও সময়ে আমরা সুখবর দিতে পারব আপনাদের ৷" অন্যদিকে, বাংলার তিন শ্রমিকও এই টানেলে আটকে রয়েছেন ৷ সে বিষয়ে রাজ্যের মন্ত্রী বলেন, "বিভিন্ন রাজ্যের শ্রমিক আছেন ৷ সকলেই আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ ৷ সকলকেই সুস্থভাবে উদ্ধার করাই আমাদের লক্ষ্য ৷"
টানা 13 দিন ধরে উত্তরকাশীর সিল্কিয়ারা টানেলে আটকে রয়েছেন 41 জন শ্রমিক ৷ তাদের উদ্ধারের জন্য বিদেশি বিশেষজ্ঞদেরও সাহায্য নেওয়া হয়েছে ৷ প্রথমে মনে করা হয়েছিল বুধবারই উদ্ধারকাজ সম্পন্ন হবে ৷ খোদ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীও জানিয়েছিলেন দ্রুত হয়ে যাবে উদ্ধারকাজ ৷ কিন্তু তারপরও উদ্ধারে বেশ কিছু বাধাও এসেছে ৷ কিন্তু শুক্রবার অনেকটাই এগিয়েছে উদ্ধারকাজ ৷ এদিন প্রেমচাঁদ আগরওয়াল বলেন, "এখন যে জায়গা পর্যন্ত আমরা পৌঁছেছি, তাতে আর একটা পাইপ লাগানো বাকি আছে মাত্র৷ সেটা হয়ে গেলে সব সম্পূর্ণ হয়ে যাবে ৷"