দেরাদুন, 9 জানুয়ারি: প্রত্যেকটি মিনিটই ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ ৷ কারণ, যেকোনও মুহূর্তে ধ্বংসলীলা শুরু হয়ে যেতে পারে উত্তরাখণ্ডের (Uttarakhand) জোশীমঠে (Joshimath Sinking) ৷ কিন্তু, তারপরও বহু মানুষ তাঁদের ঘরবাড়ি ছেড়ে আসতে রাজি নন ৷ আর তাতেই দুশ্চিন্তা বাড়ছে রাজ্য প্রশাসনের ৷ তাদের তরফ থেকে ইতিমধ্যেই ঘোষণা করা হয়েছে, জোশীমঠ বসবাসের অযোগ্য ৷ কিন্তু, সরকারি ঘোষণার পরও আবেগ বাঁধ মানছে না ৷ নিজেদের হাতে গড়া ঘর, সংসার ছেড়ে চলে যেতে পারছেন না বাসিন্দারা ৷ সোমবার এ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন রাজ্য়ের মুখ্যসচিব (Chief Secretary) এসএস সাধু (SS Sandhu) ৷
সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসন ইতিমধ্যেই ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার 200টিরও বেশি বাড়িতে লাল রংয়ের কাটা চিহ্ন দিয়ে এসেছেন ৷ যার অর্থ হল, এই বাড়িগুলি বিপজ্জনক ৷ আর এখানে বসবাস করা যাবে না ৷ সরকারের প্রস্তাব, ওইসব বাড়ির বাসিন্দারা চাইলে ত্রাণশিবিরে উঠে যেতে পারেন ৷ অথবা, তাঁরা বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকতে পারেন ৷ তার জন্য রাজ্য়ের তরফে প্রত্যেকটি পরিবারকে মাসে 4 হাজার টাকা করে দেওয়া হবে ৷ আগামী 6 মাস এই সুবিধা পাবেন তাঁরা ৷
আরও পড়ুন:জোশীমঠকে সিঙ্কিং জোন ঘোষণা প্রশাসনের, এলাকা ছাড়ার নির্দেশ বাসিন্দাদের
এই প্রেক্ষাপটে সোমবার আরও 68টি বাড়িতে নতুন করে ফাটল দেখা দিয়েছে ৷ যার জেরে ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ির সংখ্য়া বেড়ে হয়েছে 678 ৷ এই সময়ের মধ্যে আরও 27টি পরিবারকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে ৷ এদিন চমোলির বিপর্যয় মোকাবিলা কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে একথা জানানো হয়েছে ৷ সব মিলিয়ে এখনও পর্যন্ত মোট 82টি পরিবারকে নিরাপদে অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে ৷
ইতিমধ্যেই জাতীয় বিপর্যয় মোকবিলাবাহিনী এবং রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলাবাহিনীকে জোশীমঠে মোতায়েন করা হয়েছে ৷ যাতে আপদকালীন পরিস্থিতি তৈরি হলে সহজেই তার মোকাবিলা করা যায় ৷ এদিন রাজ্যের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখার জন্য একটি জরুরি বৈঠক করেন মুখ্যসচিব ৷ সেই বৈঠকে বিভিন্ন দফতরের আধিকারিকরা উপস্থিত ছিলেন ৷ বৈঠকে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা দ্রুত খালি করা নিয়ে আলোচনা হয় ৷ সেই সময়েই বহু বাসিন্দার বাড়ি না ছাড়তে চাওয়ার বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন মুখ্যসচিব ৷ তিনি জানিয়েছে, ভূমিক্ষয় রুখতে যত দ্রুত সম্ভব বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ মেনে কাজ শুরু করতে হবে ৷ পাশাপাশি ফাটল ধরা বাড়িগুলি সম্পূর্ণ ভেঙে ফেলতে হবে ৷ তা না হলে বিপদ আরও বাড়বে ৷ কিন্তু, সংশ্লিষ্ট বাড়িগুলির বাসিন্দাদের সহযোগিতা ছাড়া সেই কাজ সহজ হবে না বলেই মনে করছে প্রশাসন ৷