দেরাদুন, 8 ফেব্রুয়ারি : আট বছর আগের আতঙ্ক আবার ফিরেছে দেবভূমিতে । চামোলি থেকে এখন শুধু ভেসে আসছে কান্নার রোল । গতকাল সারা রাত চলেছে উদ্ধারকাজ । এখনও চলছে । বাড়ছে মৃতের সংখ্যা । নন্দাদেবী হিমবাহ ধসের ফলে যে হড়পা বানের সৃষ্টি হয়েছিল, তাতে এখনও পর্যন্ত 18 জনের মৃত্যু হয়েছে । দু'শো জনেরও বেশি মানুষ এখনও নিখোঁজ । যাঁদের এখনও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না, তাঁদের মধ্যে অনেকেরই মৃত্যু হয়েছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে ।
এরই মধ্যে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় চলছে উদ্ধারের কাজ । জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী, উত্তরাখণ্ডের রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী থেকে শুরু করে সেনা জওয়ানদেরও নামানো হয়েছে উদ্ধারকাজে । তৈরি রাখা হয়েছে নৌসেনার মার্কোস কমান্ডোদেরও । গতকাল সারা রাত ধরে চলেছে উদ্ধারকাজ । একটি সুড়ঙ্গের ভিতরে আটকে পড়া 30 জনকে উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে উদ্ধারকারী দল ।
চামোলির তপোবন এলাকার ওই সুড়ঙ্গটি 12 ফুট উঁচু এবং 15 ফুট চওড়া । সুড়ঙ্গের ভিতরে কর্মীরা কাজ করছিলেন, আর ঠিক সেই সময়েই ধস পড়ে, নরম কাদা মাটি পড়ে সুড়ঙ্গের মুখ বন্ধ হয়ে যায় । প্রায় দেড় কিলোমিটার লম্বা ওই সুড়ঙ্গটিতে ঢোকা এবং বেরোনোর জন্য ওই একটিমাত্রই পথ ছিল । আটকে পড়া শ্রমিকরা সুড়ঙ্গের ঠিক কোন জায়গায় আছেন, বা তাঁরা সকলে একসঙ্গে রয়েছেন কিনা সেসব কিছুই জানা ছিল না উদ্ধারকারী দলের । ফলে ওই সুড়ঙ্গ থেকে শ্রমিকদের বের করে আনার কাজটি মোটেই সহজ ছিল না ।
আরও পড়ুন : ধসে মৃতদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ কেন্দ্র-উত্তরাখণ্ড সরকারের, চলছে উদ্ধারকাজ
আইটিবিপির জওয়ানরা, জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর সদস্যরা এবং উত্তরাখণ্ডের রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী গতকাল সারা রাত ধরে সুড়ঙ্গ থেকে আটকে পড়া শ্রমিকদের উদ্ধারের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিলেন ।