রাইপুর ও রাঁচি, 4 সেপ্টেম্বর:'ঘোড়া কেনাবেচা'র আশঙ্কায় উত্তাপ বাড়ছে ঝাড়খণ্ড রাজনীতির (Jharkhand Political Crisis) অন্দরে ৷ সূত্রের খবর, সরকার পক্ষের বিধায়কদের মোটা টাকার লোভ দেখিয়ে দলে টানতে পারে বিরোধী দল বিজেপি ৷ তাই তড়িঘড়ি সেই বিধায়কদের ছত্তীসগড়ে রাইপুরের একটি রিসর্টে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল ৷ বলা ভালো, নজরবন্দি করে রাখা হয়েছিল ! রবিবার সেই বিধায়করাই বিমানে রাঁচি ফিরলেন !
এই মুহূর্তে ঝাড়খণ্ডের জোট সরকারের নেতৃত্বে রয়েছে মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনের (Hemant Soren) দল ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা (Jharkhand Mukti Morcha) বা জেএমএম (JMM) ৷ তাদের সঙ্গে জোটে রয়েছে কংগ্রেস এবং আরজেডি ৷ সংশ্লিষ্ট মহলের দাবি, সোজা পথে ঝাড়খণ্ডে সরকার গড়তে পারেনি বিজেপি ৷ সেই কারণেই এবার ঘুরপথে রাজ্যের মসনদে বসতে চাইছে তারা ৷ তলায় তলায় চলছে ঘোড়া কেনাবেচার খেলা ৷
আরও পড়ুন:সরকার বাঁচাতে বিধায়কদের অজানা গন্তব্যে পাঠালেন হেমন্ত
এই প্রেক্ষাপটে গত 30 অগস্ট শাসক জোটের 32 জন বিধায়ককেই বিমানে রাইপুর পাঠিয়ে দেওয়া হয় ৷ কিন্তু এর পরদিনই চারজন বিধায়ক, যাঁরা আবার রাজ্য মন্ত্রিসভার সদস্য, তাঁরা রাঁচি ফিরে আসেন ৷ সূত্রের দাবি, ওই দিন মন্ত্রিসভার একটি বৈঠক ছিল ৷ সেই কারণেই তাঁরা নিজেদের রাজ্যে ফিরে যান ৷ অথচ আর একজন বিধায়ক ওই একইদিনে রাঁচি থেকে ছত্তীসগড়ের রিসর্টে এসে ওঠেন ৷ সংশ্লিষ্ট সূত্রের আরও দাবি, হেমন্ত সোরেনের সরকারকে ফেলতে ইতিমধ্য়েই কোমর বেঁধেছে গেরুয়া শিবির ৷ সোমবার বিধানসভার বিশেষ অধিবেশন চলাকালীনই মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে অনাস্থা পেশ করা হতে পারে ৷ সেই ভোটাভুটিতে জিততেই আগেভাগে বিধায়কদের রাজ্য়ের বাইরে পাঠিয়ে দেওয়া হয় বলে মত ওয়াকিবহাল মহলের ৷
তবে, এই প্রেক্ষাপটেও সরকারের সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে নিশ্চিত মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন ৷ ইতিমধ্যেই বিধানসভার সচিবালয়ের তরফ থেকে বিধায়কদের কাছে একটি চিঠি পাঠানো হয়েছে ৷ তাতে বলা হয়েছে, মুখ্যমন্ত্রী আস্থাভোটের মুখোমুখি হতে প্রস্তুত ৷ হাত গুটিয়ে বসে নেই বিজেপি-ও ৷ সরকার উলটে দিতে রণকৌশল তৈরির কাজ প্রায় সারা হয়ে গিয়েছে তাদের ৷ রবিবারই দলের বিধায়করা একটি জরুরি বৈঠক করেছেন ৷ ঝাড়খণ্ড বিধানসভা সূত্রে এই খবরের সত্যতা স্বীকার করা হয়েছে ৷
সংসদীয় বিষয়ক মন্ত্রী আলমগীর আলম এই প্রসঙ্গে বলেন, "ঝাড়খণ্ডে একটা বিভ্রান্তির পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে ৷ গত বৃহস্পতিবার আমাদের প্রতিনিধিরা রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করেছেন ৷ তিনি আমাদের আশ্বস্ত করেছেন, আগামী এক-দু'দিনের মধ্য়েই সবকিছু স্পষ্ট হয়ে যাবে ৷ কিন্তু, এখনও পর্যন্ত কোনও ঘটনা ঘটেনি ৷ আমরা বিধানসভায় আমাদের বক্তব্য পেশ করব এবং সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করব ৷"