জোরহাট, 15 ডিসেম্বর: বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় জোরহাটে ভারতীয় সেনা ক্যাম্পে সম্ভাব্য গ্রেনেড বিস্ফোরণের ঘটনায় দায়স্বীকার করল নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন ইউনাইটেড লিবারেশন ফ্রন্ট অফ আসাম (ইন্ডিপেনডেন্ট) বা আলফা ৷ জঙ্গি সংগঠনের প্রচার শাখার সদস্য ক্যাপ্টেন রুমেল আসমের নামে জারি করা একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, তারা বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা 7 টা 21 মিনিটে জোরহাটের লিচুবাড়িতে অবস্থিত ভারতীয় সেনাবাহিনীর 41 সাব এরিয়া ক্যাম্পে একটি জঙ্গি অভিযান চালায় ৷ এমনকি সেনা ক্যাম্পের আশেপাশে অবস্থিত আদিবাসীদের, নিজেদের বন্ধু বলে দাবি করেছে জঙ্গি সংগঠনটি ৷
ওই প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আলফার তরফে দাবি করা হয়েছে, জঙ্গি সংগঠনের এই গ্রেনেড হামলার উদ্দেশ্য কোনওভাবেই সেখানে অবস্থিত আদিবাসীদের আতংকিত করার জন্য ছিল না ৷ বরং আদিবাসীরা তাদের বন্ধু বলে জানানো হয়েছে ওই বিবৃতিতে ৷ ওই প্রেস বিজ্ঞপ্তির লেখা থেকে স্পষ্ট, গ্রেনেড হামলার পর জোরহাটের আদিবাসীদের সমর্থন পাওয়ার চেষ্টা শুরু করেছে আলফা ৷
সেখানে দাবি করা হয়েছে, ‘‘কিছু জনগোষ্ঠী, যারা নিজেদের আদিবাসী বলে দাবি করে, বিভ্রান্তমূলক খবর প্রচার করছে ৷ যেখানে বলা হচ্ছে, জোরহাটের সকল প্রান্তিক আদিবাসীরা আতংকিত ৷’’ কিন্তু, এখবর পুরোপুরি মিথ্যে বলে প্রেস বিবৃতিতে হামলার দায়স্বীকার করে জানিয়েছে আলফা ৷ জঙ্গি সংগঠনটির দাবি, তাদের এই হামলার উদ্দেশ্য ছিল, উপনিবেশিকতার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ ৷ তাই আদিবাসী মানুষজনের আতংকিত হওয়ার কোনও কারণ নেই বলে দাবি করা হয়েছে ৷
ওই বিবৃতিতে অসমের ডিজিপি জ্ঞানেন্দ্র প্রতাপ সিংকে নিশানা করেছে আলফা ৷ তাঁকে উদ্দেশ্য করে জঙ্গি সংগঠন বলেছে, ‘‘ভারত ও অসমের মধ্যে এই দ্বন্দ্ব রাজনৈতিক এবং এটা রাজনৈতিকভাবেই সমাপ্ত হবে ৷ জিপি সিংয়ের জানা দরকার যে, এখানে তাঁর হস্তক্ষেপ করার কোনও প্রয়োজন নেই ৷ এমনকি তাঁর কোনও নৈতিক অধিকারও নেই এ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করার ৷ কিন্তু, তিনি বারেবারে অসমের আদিবাসীদের অধিকারের বিষয়ে অযাচিতভাবে হস্তক্ষেপ করছে বলে অভিযোগ জঙ্গি সংগঠনের ৷
আরও পড়ুন:
- শ্রীনগরে গ্রেনেড হামলা আহত বেশ কয়েকজন সাধারণ মানুষ
- পুলওয়ামায় নিকেশ 3 জঙ্গি, বারামুল্লায় গ্রেনেড হামলায় জখম 6
- কুপওয়ারায় সেনা ক্যাম্পে বিস্ফোরণ, জখম 2 জওয়ান