ইম্ফল, 28 জুলাই: মণিপুরের বিষ্ণুপুর জেলায় জঙ্গিদের সঙ্গে গুলি বিনিময়ে এক সেনা জওয়ান-সহ দুই নিরাপত্তাকর্মী আহত হয়েছেন ৷ শুক্রবার এ কথা জানিয়েছেন পুলিশের আধিকারিকরা ।
15 ঘণ্টা গুলির লড়াই: বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানী ইম্ফল থেকে প্রায় 50 কিলোমিটার দূরে ফুবাকচাও ইখাই এলাকায় গোলাগুলি শুরু হয় এবং গভীর রাত পর্যন্ত তা চলতে থাকে ৷ প্রায় 15 ঘণ্টা গুলির লড়াই চলার পর জঙ্গিরা এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায় ।
জখম 2 নিরাপত্তা কর্মী: গোলাগুলির সময় কাছের তেরা খংসাংবিতে একটি বাড়িতে আগুন লেগেছে । আহত হন মণিপুর পুলিশের এক কমান্ডো ৷ 40 বছর বয়সি ওই কমান্ডোর নাম নামিরাকপাম ইবোমচা । মর্টার বিস্ফোরণে তাঁর ডান পায়ে এবং ডান কানে স্প্লিন্টারের আঘাত লেগেছে বলে পুলিশের এক আধিকারিক জানিয়েছেন ৷ আহত সেনা জওয়ান কুমায়ুন রেজিমেন্টের অন্তর্গত কিন্তু এখনও তাঁর পরিচয় জানা যায়নি ৷
আরও পড়ুন:মণিপুরের সঙ্গে কাশ্মীরের তুলনা মমতার, পালটা কালো পতাকা বিজেপির
ড্রোন জঙ্গিদের খোঁজ দেয়: এলাকায় ড্রোন উড়িয়ে সেখান থেকে প্রাপ্ত ফুটেজে দেখা যায় যে, দলবল নিয়ে ওই এলাকা দিয়ে যাচ্ছে জঙ্গিরা ৷ সেই সময়ই অভিযান চালায় নিরাপত্তা কর্মীদের বাহিনী ৷ তবে গোলাগুলিতে কোনও জঙ্গি হতাহত হয়েছে কি না, তা এখনও স্পষ্ট নয় বলে পুলিশের ওই আধিকারিক জানিয়েছেন ৷
হিংসায় জ্বলছে মণিপুর: প্রায় তিন মাস আগে মণিপুরে কুকি এবং মেইতেই সম্প্রদায়ের মধ্যে জাতিগত হিংসা শুরু হয় ৷ তখন থেকে 160 জনেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে এই রাজ্যে ৷ আহত হন শতাধিক ৷ মেইতেই সম্প্রদায়ের তফসিলি উপজাতি (এসটি) মর্যাদার দাবির প্রতিবাদে পার্বত্য জেলাগুলিতে একটি 'উপজাতি সংহতি মার্চ' সংগঠিত হওয়ার পরে 3 মে থেকে হিংসার ঘটনা ঘটা শুরু হয় । মণিপুরের জনসংখ্যার প্রায় 53 শতাংশ মেইতেই এবং বেশিরভাগই ইম্ফল উপত্যকায় বাস করে ৷ আর নাগা ও কুকিদের অন্তর্ভুক্ত আদিবাসীরা মণিপুরের জনসংখ্যার 40 শতাংশ ৷ তাঁরা প্রধানত পার্বত্য জেলাগুলিতে বসবাস করেন ।