নয়াদিল্লি, 28 জুন : ভারতে টুইটারের অন্তর্বর্তীকালীন অভিযোগগ্রহণকারী আধিকারিক পদত্যাগ করলেন ৷ এর ফলে এই মাইক্রোব্লগিং সাইটের অভিযোগ নেওয়ার আর কোনও আধিকারিক থাকলেন না ৷ তবে নয়া তথ্য ও প্রযুক্তি নিয়ম অনুযায়ী ভারতীয় গ্রাহকদের অভিযোগ গ্রহণের জন্য বাধ্যতামূলকভাবে এমন আধিকারিক রাখতে হবে টুইটারকে ৷
সূত্রের মারফত্ খবর মিলেছে, সম্প্রতি টুইটার ভারতের জন্য অন্তর্বর্তী অভিযোগ গ্রহণে ধর্মেন্দ্র চতুর নামে যে আধিকারিককে নিয়োগ করেছিল, তিনি তাঁর পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন ৷ 2021 সালের তথ্য ও প্রযুক্তি আইন অনুযায়ী এই পদের আধিকারিকের নাম কোম্পানির ওয়েবসাইটে থাকার কথা থাকলেও, সেখানে আর দেখা যাচ্ছে না ধর্মেন্দ্র চতুরের নাম ৷
নয়া সোশ্যাল মিডিয়া সংক্রান্ত বিধি নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে টুইটারের সংঘাতের মাঝেই এই পরিস্থিতি তৈরি হল ৷ বিধি না-মানার জন্য বারবার কেন্দ্রের তোপের মুখে পড়তে হয়েছে টুইটারকে ৷ 25 মে থেকে চালু হওয়া নিয়মে বলা হয়েছে যে, সোশ্যাল মিডিয়া কোম্পানিগুলিকে গ্রাহকদের অভিযোগ গ্রহণ করে সে ব্যাপারে পদক্ষেপ করার জন্য বাধ্যতামূলকভাবে গ্রিভান্স রিড্রেসাল মেকানিজম তৈরি করতে হবে ৷
আরও পড়ুন: আইন ভেঙেছে টুইটার, অ্যাকাউন্ট সাময়িক বন্ধ নিয়ে সরব রবিশঙ্কর
50 লাখের উপর গ্রাহক রয়েছে এমন প্রত্যেক উল্লেখযোগ্য সোশ্যাল মিডিয়া কোম্পানি গ্রাহকদের অভিযোগ গ্রহণের জন্য আধিকারিকদের নিয়োগ করেছিল ৷ সেই আধিকারিকদের নাম ও তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগের সবিস্তার তথ্যও ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয় ৷ বড় সোশ্য়াল মিডিয়া কোম্পানিগুলিকে বাধ্যতামূলকভাবে একজন মুখ্য অভিযোগগ্রহণকারী আধিকারিক, একজন নোডাল কনট্যাক্ট পার্সন ও একজন আবাসিক গ্রিভান্স অফিসার নিয়োগ করতে বলা হয় ৷ সবাইকে ভারতীয়ই হতে হবে ৷ 5 জুন এ ব্যাপারে কেন্দ্র চূড়ান্ত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর টুইটারের পক্ষ থেকে জানানো হয় যে, তারা নয়া বিধি মেনে চলতে ব্যবস্থা গ্রহণ করছে এবং চিফ কনপ্লায়েন্স অফিসারের বিষয়ে সবিস্তার তথ্য শিগগিরই জানাবে ৷ দিনকয়েক পরই চতুরকে দেশের অন্তর্বর্তীকালীন রেসিডেন্ট গ্রিভান্স অফিসার হিসেবে নিয়োগ করে টুইটার ৷
আরও পড়ুন:টুইটারকে ভারতের আইন মেনে চলার নির্দেশ সংসদীয় কমিটির
তবে তিনিও পদত্যাগ করায় বর্তমানে ওই আধিকারিকের জায়গায় ওয়েবসাইটে কোম্পানির নাম দিয়ে রেখেছে টু্ইটার ৷ দেওয়া আছে আমেরিকার ঠিকানা ও একটি ইমেইল আইডি ৷