পশ্চিমবঙ্গ

west bengal

By

Published : Sep 3, 2021, 7:50 PM IST

ETV Bharat / bharat

Tunnel Discover : দিল্লি বিধানসভায় গোপন সুড়ঙ্গের হদিশ

দিল্লি বিধানসভায় গোপন সুড়ঙ্গের হদিশ মিলল ৷ বৃহস্পতিবার বিষয়টি সামনে আসে ৷ সূত্রের দাবি, ব্রিটিশ আমলে এই সুড়ঙ্গ দিয়েই বিপ্লবীদের আদালতে পেশ করার জন্য আনা হত ৷ বিধানসভা ভবন থেকে সোজা লালকেল্লায় পৌঁছানো যায় এই সুড়ঙ্গ পথে ৷

Tunnel reaching Red Fort discovered at Delhi Legislative Assembly
Tunnel Discover : দিল্লি বিধানসভায় গোপন সুরঙ্গ আবিষ্কার !

নয়াদিল্লি, 3 সেপ্টেম্বর : বিধানসভায় গোপন সুড়ঙ্গ ! আর তা নিয়েই চলছে হইচই ৷ বিষয়টি সামনে আসে বৃহস্পতিবার ৷ দিল্লি বিধানসভার নীচে, মাটিরে তলায় সুড়ঙ্গের মতো একটি গোপন পথের হদিশ মেলে সেদিন ৷ সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল, এই সুড়ঙ্গই লোকচক্ষুর আড়ালে বিধানসভা ভবনকে জুড়ে দিয়েছে লালকেল্লার সঙ্গে ৷ সংবাদমাধ্যমের কাছে এই তথ্যের সত্যতা স্বীকার করেছেন অধ্যক্ষ রামনিবাস গোয়েল (Ram Niwas Goel) ৷ তাঁর দাবি, এই সুড়ঙ্গটি ব্রিটিশ আমলের ৷ খুব সম্ভবত, বিপ্লবীদের যখন এক জায়গা থেকে অন্য জায়গা সরানো হত, তখন অশান্তি এড়াতে এই গোপন পথ ব্যবহার করত ব্রিটিশরা ৷

আরও পড়ুন :Kerala Exams Paused : করোনা পরিস্থিতি উদ্বেগের, কেরালার ইলেভেনের পরীক্ষা স্থগিত করল সুপ্রিম কোর্ট

এই প্রসঙ্গে দিল্লি বিধানসভার অধ্যক্ষ বলেন, ‘‘1993 সালে আমি যখন বিধায়ক হয়ে দিল্লি বিধানসভায় পৌঁছই, তখনই একটা কানাঘুষো শুনেছিলাম ৷ বিধানসভায় নাকি একটা গোপন সুড়ঙ্গ আছে ৷ সেটা দিয়ে সোজা লালকেল্লায় পৌঁছনো যায় ৷ আমি এ নিয়ে কিছু পড়াশোনাও করেছিলাম ৷ কিন্তু শেষমেশ কোনও লাভ হয়নি ৷ কোথাও কোনও নির্দিষ্ট তথ্য ছিল না ৷ তবে এত দিনে আমরা সেই গোপন সুড়ঙ্গের মুখ খুঁজে পেয়েছি ৷ কিন্তু, সেটাকে আর খোঁড়াখুঁড়ি করিনি ৷ কারণ, দিল্লিতে মেট্রো রেলের কাজ করার সময়েই সুড়ঙ্গের বেশিরভাগ অংশ নষ্ট হয়ে গিয়েছে ৷’’

ইতিহাস ঘেঁটে এই সম্পর্কে বেশ কিছু তথ্য হাতে পেয়েছেন রামনিবাস ৷ ভারতের ইতিহাস বলছে, 1912 সালে ব্রিটিশ সরকার রাজধানী কলকাতা থেকে দিল্লিতে স্থানান্তরিত করে ৷ আজকে যে ভবনে দিল্লি বিধানসভার অধিবেশন বসছে, সেই সময় এখানেই কেন্দ্রীয় বিধানসভা চলত ৷ 1926 সালে আবার এই ভবনকেই আদালতে রূপান্তরিত করা হয় ৷ খুব সম্ভবত, বিপ্লবীদের আদালতে আনার জন্য এই গোপন সুড়ঙ্গ ব্যবহার করত ভিনদেশি শাসকরা ৷

রামনিবাস সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘‘আমরা সকলেই জানতাম, এখানে একটি ফাঁসির ঘর রয়েছে ৷ কিন্তু কোনও দিন সেটা খোলা হয়নি ৷ এদিকে, ইতিমধ্যে স্বাধীনতার 75 বছর পার হয়ে গিয়েছে ৷ তাই আমি স্থির করেছি, আমি ওই ঘরটি সরেজমিনে ঘুরে দেখব ৷ আমাদের উদ্দেশ্য হল, ওই ঘরটিকে একটি পবিত্র স্থান হিসাবে পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা ৷ শহিদদের শ্রদ্ধা জানাতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ৷’’

আরও পড়ুন :Dada ke Bolo : ত্রিপুরায় বিজেপির ‘দাদাকে বলো’, কটাক্ষ তৃণমূলের

এই জায়গা যাতে সর্বসাধারণের জন্য খুলে দেওয়া যায়, তার ব্যবস্থাও করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন দিল্লি বিধানসভার অধ্যক্ষ ৷ স্থির হয়েছে, পরবর্তী স্বাধীনতা দিবসের আগেই এই ফাঁসি-ঘরটিকে নতুন রূপে সাজিয়ে তোলা হবে ৷ এই প্রসঙ্গে রামনিবাস বলেন, ‘‘এই জায়গার ঐতিহাসিক গুরুত্ব অপরিসীম ৷ আমরা এটাকে এমনভাবে সাজিয়ে তুলতে চাই, যাতে আমজনতা ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের সেই ইতিহাসকে চাক্ষুস করতে পারে ৷’’

ABOUT THE AUTHOR

...view details