আগরতলা, 18 অগস্ট : ত্রিপুরা হাইকোর্টে (Tripura HC) কিছুটা স্বস্তিতে তৃণমূল কংগ্রেস ৷ পুলিশের কাজে বাধা দেওয়া ও থানায় বিক্ষোভের অভিযোগে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)-সহ ছয়জন তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছিল ত্রিপুরা পুলিশ (Tripura Police)৷ সেই মামলায় হস্তক্ষেপ করে পুলিশের কাছে ঘটনার দিনের ভিডিয়ো রেকর্ড চেয়ে পাঠিয়েছেন হাইকোর্টের মুখ্য বিচারপতি ৷ মামলার পরবর্তী শুনানি 2 সেপ্টেম্বর ধার্য করা হয়েছে ৷ সেই শুনানি হওয়ার আগে পুলিশ কোনও ফাইনাল রিপোর্ট পেশ করতে পারবে না বলেও স্পষ্ট করে দিয়েছে আদালত ৷
খোয়াই থানা ঘেরাও করায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা রুজু করে ত্রিপুরা পুলিশ । মামলায় নাম রয়েছে কুণাল ঘোষ, ব্রাত্য বসু, দোলা সেনেরও । এফআইআরে নাম রয়েছে ত্রিপুরা তৃণমূলের নেতা সুবল ভৌমিক এবং প্রকাশ দাসেরও । রবিবার খোয়াই থানায় তৃণমূলের ধর্নার জেরে এফআইআর দায়ের করে পুলিশ । এফআইআরে পুলিশের কাজে বাধা দেওয়া, পুলিশকে কটূক্তি করার অভিযোগ আনা হয়েছে । অভিযুক্তদের আদালতে পেশ করতে গিয়েও পুলিশকে যথেষ্ট বেগ পেতে হয় বলে অভিযোগ । সেই কারণে সরকারি কাজে বাধা দেওয়া হয়েছে বলে লেখা হয় এফআইআরে ।
আরও পড়ুন:Tripura TMC : তৃণমূল নেতাদের জামিন, ত্রিপুরা থেকে বিজেপিকে উৎখাতের ডাক অভিষেকের
সেই এফআইআর-কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ত্রিপুরা হাইকোর্টে আবেদন করেছিলেন সুবল ভৌমিক ৷ সেই আবেদনের শুনানিতে ঘটনার দিনের যাবতীয় রেকর্ড চেয়ে পাঠিয়েছে আদালত ৷ আগামী শুনানি না-হওয়া পর্যন্ত পুলিশের চূড়ান্ত রিপোর্ট তৈরি করাতেও স্থগিতাদেশ দিয়েছে ত্রিপুরা হাইকোর্ট ৷
তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক তথা মুখপাত্র কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh) টুইটে আজ জানিয়েছেন, "অভিষেক মামলায় হস্তক্ষেপ করেছে হাইকোর্ট ৷ কেস ডায়েরি তলব করা হয়েছে ৷ পুলিশ ফাইনাল রিপোর্ট দিতে পারবে না ৷ 2 সেপ্টেম্বর মামলার পরবর্তী শুনানি ৷" জামিনযোগ্য মামলায় তৃণমূল নেতাদের কেন এতক্ষণ আটক করে রাখা হল, বিচারপতি পুলিশকে সেই প্রশ্নও করেছেন বলে জানান কুণাল ঘোষ ৷