আমেদাবাদ, 8 জুলাই:নরেন্দ্র মোদির প্রধানমন্ত্রীত্বে 2017 সালে 'তিন তালাক নিষিদ্ধ' করার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয় সুপ্রিম কোর্ট। 2019 সালে তিন তালাক প্রথাকে ফৌজদারি অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হয়। 2023 সালে সেই মোদির রাজ্যেই তিন তালাকের রমরমা। কোথায় আইন, কোথায় সুপ্রিম নির্দেশিকা। আমেদাবাদে স্ত্রীকে তিন বার তালাক বলেই বিবাহ বিচ্ছেদের অভিযোগ এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে।
আমেদাবাদের ভেজালপুরে স্ত্রীকে সন্তান-সহ বাড়ি থেকে বের করে দেওয়ার আগে তাঁকে তালাক দেওয়া হয়। বিয়ের চার বছরের মধ্যে তিন তালাক। সরাসরি আইন ভঙ্গ করেই তিন তালাকের ঘটনা আমেদাবাদে। পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের হয়েছে। পুলিশকে মহিলা জানিয়েছেন, 2019 সালে তাঁর নিকাহ হয়। প্রথম ছয় মাস ভালো ব্যবহার পেলেও অত্যাচার শুরু হয় তারপর থেকেই। অত্যাচার সহ্য করতে না-পেরেই সন্তানকে নিয়ে ঘর ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেন। বাড়ি থেকে বেরোনোর সময়ই তাঁকে তিন তালাক দেন স্বামী ৷ এমনটাই অভিযোগ ওই মহিলার।
কয়েকদিন আগেই নরেন্দ্র মোদি বলেছিলেন, "যাঁরা তিন তালাক নিষিদ্ধ করার বিরোধিতা করেন তাঁরা মুসলিম মহিলা অধিকার আইনের বিরোধিতা করছেন। তাঁরা মুসলিম মহিলাদের ভালো চান না।" প্রশ্ন উঠছে নিজের রাজ্য গুজরাতে কি তিন তালাক নিষিদ্ধের উপর জোর কম দিলেন প্রধানমন্ত্রী ? কারণ, শুধু ভেজালপুরের ঘটনা নয় চলতি বছরের মে মাসে আমেদাবাদেই 21 বছরের তরুণীকে তিন তালাক দেয় স্বামী। অত্যাচারের শিকার হচ্ছিলেন তরুণী। 2022 সালেও গুজরাতে বেশ কয়েকটি তিন তালাকের ঘটনা ঘটেছে। যেখানে সরকারি আধিকারিককে পর্যন্ত গ্রেফতার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন:সম্প্রীতির নজির ! মন্দিরে বিয়ে হল মুসলিম যুগলের
কেন্দ্রের দাবি, তিন তালাক নিষিদ্ধ আইন নিয়ে রাজ্যগুলি সচেতন নয়। সেই তালিকায় তবে কি মোদির রাজ্য গুজরাতও ? কারণ, তথ্য বলছে গত কয়েক বছরে তিন তালাক নিষিদ্ধ আইন রেকর্ড হারেই লঙ্ঘিত হয়েছে গুজরাতে। হায়দরাবাদ ও দিল্লিও তালিকায় রয়েছে। তবে, আমেদাবাদে ফের তিন তালাকের ঘটনা বিতর্ক উস্কে দিল। তিন তালাক নিষিদ্ধ নিয়ে কতটা সচেতন মোদির রাজ্যের প্রশাসন ? উঠছে প্রশ্ন ৷