কলকাতা, 17 সেপ্টেম্বর : দেশকে পাকিস্তান অথবা তালিবানে পরিণত হতে দেবেন না তিনি, বলছেন তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ ভবানীপুরে হেভিওয়েট উপনির্বাচন ঘিরে সরগরম বঙ্গ রাজনীতি ৷ যদি ভবানীপুর বিধানসভা কেন্দ্র থেকে তৃণমূল কংগ্রেস জেতে তাহলে গোটা দক্ষিণ কলকাতা পাকিস্তান হয়ে যাবে, গেরুয়া শিবিরের এই অভিযোগের বিরুদ্ধে তিনি পাল্টা জবাব দিলেন মমতা ৷ বললেন, বিজেপি বিভাজনের রাজনীতি করছে ৷ তাই শুধু ভবানীপুর নয়, রাজ্য তথা সমগ্র দেশের প্রসঙ্গ টেনে মুখ্যমন্ত্রী এই কথা জানান ৷ তিনি বলেন, "আমি বিজেপির নীতি আর রাজনীতি, কোনওটাই পছন্দ করি না ৷ ওরা শুধু ধর্ম অনুযায়ী মানুষের মধ্যে বৈষম্য তৈরির রাজনীতি অনুসরণ করে ৷ ওরা বলেছিল নন্দীগ্রামও পাকিস্তান হয়ে যাবে (যদি তৃণমূল কংগ্রেস জেতে) ৷ ভবানীপুরের ক্ষেত্রেও একই কথা বলছে ৷ এটা খুব ধিক্কারজনক ৷"
ভবানীপুর বিধানসভা কেন্দ্র
এই কেন্দ্রটি শহর তথা রাজ্য়ের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র ৷ একদিকে এখানে বাংলাভাষী মানুষের পাশাপাশি বহু হিন্দিভাষী মানুষ বসবাস করেন ৷ সম্প্রদায়ের দিক থেকেও এই জায়গার বৈশিষ্ট্য, এখানে গুজরাত থেকে আসা ব্যবসায়ী, শিখ ব্যবসায়ীরা থাকেন ৷ আবার ভবানীপুরের একটি বড় অংশ জুড়ে ধনী ব্যবসায়ীদের বাস ৷ রাজনৈতিক দিক থেকেও এই বিধানসভা কেন্দ্র তাৎপর্যপূর্ণ ৷ ভবানীপুর তৃণমূল কংগ্রেসের শক্তিশালী ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত ৷ ভবানীপুর বিধানসভা কেন্দ্রেই বাড়ি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর ৷ এর আগে তিনি 2011 সালে বিধানসভা উপনির্বাচনে এবং 2016 সালে বিধানসভা নির্বাচনে জিতেছিলেন এই কেন্দ্র থেকে ৷
তাই ভবানীপুরের প্রচার অন্য কেন্দ্রগুলির তুলনায় একটু আলাদা হবে, সেটাই স্বাভাবিক ৷ এ বছর বিধানসভা নির্বাচনে নন্দীগ্রামে প্রতিপক্ষ বিজেপি প্রার্থী শুভেন্দু অধিকারীর কাছে হেরে যান মুখ্যমন্ত্রী ৷ তাই মুখ্যমন্ত্রীর আসন টিকিয়ে রাখতে তাঁর এই উপনির্বাচনে জেতাটা জরুরি ৷ এই কেন্দ্রকে ঘিরে জোরকদমে চলছে দুই যুযুধান পক্ষের তুমুল প্রচার ৷
নিজের গড়-রক্ষার প্রচারে তৃণমূল নেত্রী
প্রচারে এসে এলাকাবাসীর উদ্দেশ্যে তৃণমূল নেত্রী বলেন, "আমি চাই আমার দেশ আরও শক্তিশালী হোক ৷ আমার সর্বশক্তি দিয়ে আমি আমার জন্মভূমিকে রক্ষা করব ৷ ভারতকে অন্য একটা তালিবান শাসিত রাষ্ট্র, পাকিস্তানে পরিণত হতে দেব না ৷"
আরও পড়ুন : Bhabanipur By Election: মমতার বিরুদ্ধে কমিশনে নির্বাচনী বিধিভঙ্গের অভিযোগ বিজেপির
মসজিদ, গুরুদ্বার দর্শন
ওই অঞ্চলের মসজিদে, গুরুদ্বারে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী ৷ এ নিয়ে সমালোচনা করে বিরোধী বিজেপি দল ৷ এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, "আমি একটা মসজিদে গিয়েছিলাম, গুরুদ্বারেও গিয়েছি ৷ আর বিজেপির এই দুটো জায়গা নিয়েই সমস্যা হচ্ছে ৷ আমি বিজেপির মতো ধর্মের সঙ্গে রাজনীতিকে জড়াই না ৷ বিজেপি নেতারা শুধুমাত্র বিভাজনের রাজনীতির ভাষাই বোঝে ৷"
লক্ষ্য যখন হিন্দিভাষী