দেওঘর, 12 এপ্রিল :ত্রিকূট পাহাড় রোপওয়ে দুর্ঘটনায় আটকে পড়া 63 জনের মধ্যে 60 জনকে উদ্ধার করা হয়েছে ৷ বাঁচানো সম্ভব হয়নি বাকি তিনজনের প্রাণ। সোমবারই উদ্ধার হয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মালদা জেলার হরিশ্চন্দ্রপুরের বিনয় কুমার দাস-সহ গোটা পরিবার ৷ মৃত্যুকে এত কাছ থেকে দেখেছেন যে এখনও অন্যকিছু কথা মাথায় আসছে না ৷ তাঁর সঙ্গে ছিল পরিবারও ৷ বারবারই মনে পড়েছিল আরও কাছের লোকজনেদের সঙ্গে আর হয়তো দেখা হবে না (Tragic story of das family members who trapped in Trikoot mountain ropeway) ৷
কিন্ত শেষরক্ষা করেছে বায়ুসেনা ৷ প্রাণে বেঁচে ফিরেছেন তিনি-সহ গোটা পরিবার ৷ উদ্ধারের পরও সে ঘটনার কথা ভাবলে বারবার শিউরে উঠছেন তিনি ৷ পরিবার-সহ তিনি সঙ্গে আরও 32 জন রোপওয়েতে আটকে পড়েছিলেন। জীবন বাঁচানোর তাগিদে ঘণ্টার পর ঘণ্টা করেছেন লড়াই ৷
এক পর্যটক শোনালেন সেই ভয়ংকর অভিজ্ঞতার কথা বিনয়বাবু তাঁর পুরো পরিবার নিয়ে বাড়ি থেকে পিন্ডদানের জন্য গয়া গিয়েছিলেন। মাঝপথে ভেবেছিলেন দেওঘরের ত্রিকূট পাহাড়ও একবার ঘুড়ে নেবেন ৷ আর তাতে রোপওয়েতে চড়াও হয়ে যাবে ৷ তারপর দেওঘরে বাবা শিবের মাথায় জল ঢেলে পরের দিন গয়ার উদ্দেশ্যে যাবেন। কিন্তু যা ভেবেছিলেন তা হল না ৷ পড়তে হল এই ভয়ংকর দুর্ঘটনার মুখে। তাঁরা গতকাল উদ্ধার হওয়ার পর দেওঘর সদর হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য যান ৷ এদিন অর্থাৎ মঙ্গলবার তিনি তাঁর গোটা পরিবার সমেত মালদায় ফিরে আসেন।
আরও পড়ুন :ত্রিকূট পাহাড়ে উদ্ধারকার্যে ফের দুর্ঘটনা, নীচে পড়ে মৃত্যু মহিলার
উল্লেখ্য ত্রিকূট পর্বত রোপওয়ে দুর্ঘটনায় আটকে পড়া মানুষদের উদ্ধারে তিন দিন ধরে অভিযান চলে। সেখান থেকে 60 জন উদ্ধার হয়েছেন ৷ তিনজন মারা গিয়েছেন যার মধ্যে একজন মহিলা ৷