নয়াদিল্লি, 14 মে :দিল্লির বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ডে কমপক্ষে 27 জন প্রাণ হারিয়েছেন, এই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলেই মনে করা হচ্ছে ৷ জখম 12 জন ৷ এনডিআরএফ দল 60-70 জনকে উদ্ধার করতে পেরেছে ৷ রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধি এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন ৷ প্রধানমন্ত্রী ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য অর্থ সাহায্যের কথা ঘোষণা করেছেন (Tragic Fire incident near Mundka Metro Station charred to death several in New Delhi) ৷
শুক্রবার বিকেলের দিকে মুন্ডকা মেট্রো স্টেশনের কাছে একটি চারতলা বাণিজ্যিক বহুতলে আগুন লাগে ৷ বহুতলটির কাছে 544 নং পিলারটি রয়েছে ৷ দমকল বিভাগ জানিয়েছে, বিকেল 4.45 মিনিট নাগাদ তারা আগুন লাগার খবর পায় ৷ ঘটনাস্থলে পৌঁছয় 30টি ইঞ্জিন ৷ আগুন লাগে দোতলার একটি অফিসে ৷ সেখানে সিসিটিভি ক্যামেরা, রাউটার তৈরি হয় ৷ আগুনে দেহগুলি এমনভাবে ঝলসে গিয়েছে যে তারা পুরুষ কি নারী, তাও বোঝা যাচ্ছে না ৷ ডিসিপি সমীর শর্মা জানিয়েছেন, পুড়ে যাওয়া দেহগুলি চিনতে ফরেনসিক টিমের সাহায্য় নেওয়া হবে ৷ একটি এফআইআর দায়ের করা হয়েছে ৷ কোম্পানির দু'জন মালিক হরিশ গোয়েল এবং বরুণ গোয়েলকে (Harish Goel and Varun Goel) গ্রেফতার করেছে পুলিশ ৷ এই দুর্ঘটনার পর বহুতলের মালিক মনীষ লাকরা (Manish Lakra) বেপাত্তা ৷
রাতের দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে ৷ রাত 10.50 মিনিট নাগাদ দিল্লির স্বাস্থ্যমন্ত্রী সত্যেন্দ্র জৈন (Satyendar Jain) টুইট করে জানান, মুন্ডকা মেট্রো স্টেশনের কাছে বিধ্বংসী আগুন নেভানো হয়েছে ৷ শনিবার সকাল পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা 27 ৷ আরও অনেকের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছেন না ৷ ওই বহুতলে জখম অবস্থায় কিছু লোক এখনও ভিতরে রয়েছেন বলেই খবর ৷ শুক্রবারের ঘটনার পর আগুনের গ্রাস থেকে বাঁচতে অনেকেই বহুতল থেকে ঝাঁপ দেন । জখম ব্যক্তিদের দিল্লির সঞ্জয় গান্ধি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে ৷ 13 মে রাতেই ওই বহুতলে কাজ করতেন, এমন অনেকের আত্মীয় ভিড় করেছেন হাসপাতালে ৷ যেমন অজিত তিওয়ারি তাঁর বোন মনিকার (21) খোঁজ করছিলেন ৷ তিনি বললেন, "গত মাসে বোন সিসিটিভি ক্যামেরা প্যাকেজিং ইউনিটের কাজে যোগ দেন ৷ বৃহস্পতিবারই তিনি প্রথমবার মাইনে পেয়েছিলেন ৷ আমরা 5টার সময় আগুন লাগার খবর জানতে পারি ৷ কিন্তু ও জানত না যে অফিসের বাড়িটায় আগুন লেগেছে ৷ 7টা বেজে গেলেও বাড়ি ফেরেনি বোন ৷ তারপর থেকে ওকে খুঁজে বেড়াচ্ছি ৷"