নয়াদিল্লি, 10 নভেম্বর: এথিক্স কমিটিকে 'সালিশি সভা' বলে তোপ দাগলেন তৃণমূলের লোকসভা সাংসদ মহুয়া মৈত্র ৷ বৃহস্পতিবার এথিক্স কমিটি তাঁকে সাংসদ পদ থেকে বরখাস্ত করার সুপারিশ করে রিপোর্ট পাঠিয়েছে ৷ এই ঘটনার পর শুক্রবার সকালে তিনি সোশাল মিডিয়ায় একটি সংবাদমাধ্যমে তাঁর সাক্ষাৎকার পোস্ট করেন ৷
এর সঙ্গে তিনি লেখেন, "অনৈতিকভাবে আমায় এথিক্স কমিটি বহিষ্কার করছে ৷ সংসদীয় রাজনীতির ইতিহাসে এই ঘটনা প্রথম আমার সঙ্গে ঘটল ৷ এভাবে সংসদীয় ইতিহাসে জায়গা পেয়ে আমার গর্ব হচ্ছে ৷ প্রথমে আমায় বহিষ্কার করুন ৷ তারপর সিবিআই-কে বলুন তদন্ত করে প্রমাণ খুঁজে বের করতে ৷" পাশাপাশি এই গোটা বিষয়টিকে তিনি সালিশি সভা এবং বাঁদরের তামাশা বলে অভিহিত করেছেন ৷ একই সঙ্গে টুইটে সাংসদ জানান বহিস্কার করার কথা এমন একটি কথা বলেছে যার এমন কিছু করার আইনন অধিকার নেই।
9 নভেম্বর, বৃহস্পতিবার এথিক্স কমিটির বৈঠক হয় ৷ কমিটির প্রধান বিজেপি সাংসদ বিনোদ কুমার সোনকার 479 পাতার রিপোর্ট পেশ করেন ৷ তাতে মহুয়া মৈত্রকে লোকসভা থেকে বহিষ্কার করার সুপারিশ করা হয়েছে ৷ এদিনের বৈঠকে এথিক্স কমিটির 10 জন সদস্য উপস্থিত ছিলেন ৷ তাঁদের মধ্যে 6 জন সাংসদ মহুয়াকে লোকসভা থেকে বহিষ্কারের পক্ষে ভোট দিয়েছেন ৷ কিন্তু বাকি 4 জন বিরোধী সাংসদ এই সুপারিশের বিরুদ্ধে মত প্রকাশ করেছেন ৷
মহুয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ: কৃষ্ণনগরের লোকসভা সাংসদ বারবার শিল্পপতি গৌতম আদানির সম্পত্তি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন ৷ এদিকে বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে গত মাসে লোকসভার অধ্যক্ষ ওম বিড়লার কাছে অভিযোগ করেন, মহুয়া মৈত্র টাকা নিয়ে শিল্পপতি গৌতম আদানির বিরুদ্ধে প্রশ্ন করেছেন ৷ এর জন্য সাংসদ তাঁর এনআইসি মেলের আইডি, পার্সওয়ার্ড অন্য আরেক শিল্পপতি দর্শন হিরানন্দানিকে দিয়েছিলেন ৷ আর এই প্রশ্নগুলি পাঠাতে সাংসদের মেলটি ব্যবহার করতেন তিনি ৷ এর বদলে অবশ্য মহুয়াকে অর্থ দিয়েছেন শিল্পপতি ৷ দর্শন হিরানন্দনিও একটি হলফনামায় স্বীকার করে নিয়েছেন যে, তিনি মহুয়ার এনআইসি মেলের আইডি, পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে সেখানে প্রশ্ন পাঠাতেন ৷ আদানি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে সেই প্রশ্নগুলিই লোকসভায় তুলে ধরতেন মহুয়া ৷ এই ঘটনারই তদন্ত করছে সংসদের এথিক্স কমিটি।