নয়াদিল্লি, 23 জুলাই: সংসদেও 'সেন্সরশিপ' চলছে। এমনই অভিযোগে সরব হল তৃণমূল ৷ দলের রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক ও ব্রায়েনের অভিযোগ, সংসদের উচ্চকক্ষে তাঁর বক্তব্য থেকে মণিপুরের অংশ কেটে বাদ দিয়ে দেওয়া হয়েছে ৷ আর যাকে সেন্সরশিপের সঙ্গে তুলনা টেনেছেন ডেরেক ৷ যদিও বিজেপির তরফে পালটা জানানো হয়েছে, মণিপুর নিয়ে ইতিমধ্যেই মুখ খুলেছেন প্রধানমন্ত্রী ৷ সুতরাং বারবার তা নিয়ে সংসদে আলোচনা করা অনর্থক ৷
না হলেও, প্রায় দু'মাসেরও বেশি সময় ধরে জ্বলছে উত্তর-পূর্বের রাজ্য মণিপুর ৷ তার আঁচ ছড়িয়েছে গোটা দেশেই। কিন্তু দেশের সংসদে যাতে মণিপুরের প্রসঙ্গই না-ওঠে, তার জন্য ইচ্ছাকৃতভাবে বিজেপি অধিবেশন নিয়ে ঢিলেমি করছে বলে অভিযোগ তুললেন তৃণমূল সাংসদ ৷ ডেরেকের অভিযোগ, সংসদে রেকর্ড থেকে তাঁর বক্তব্যে থাকা মণিপুর শব্দটি পর্যন্ত বাদ দিয়ে দেওয়া হয়েছে ৷
মণিপুরে দুই মহিলাকে বিবস্ত্র করে রাস্তায় ঘোরানোর পাশাপাশি তাঁদের উপর যৌন নির্যাতনের ভিডিয়ো প্রকাশিত হতেই, ক্ষোভে ফেটে পড়েছে গোটা দেশ ৷ এই অবস্থায় বিরোধীরা আগেই হুঁশিয়ারি দিয়েছিল, মণিপুর নিয়ে সংসদের বাদল বিবৃতি দিতে হবে প্রধানমন্ত্রীকে ৷ পাশাপাশি এই ইস্যুতে সংসদ যে তারা অচল করবে, বিরোধীদের বক্তব্যে তাও স্পষ্ট হয়েছিল ৷ আর সেই ছবি দেখা গিয়েছে বাদল অধিবেশনে ৷ গত 20 জুলাই থেকে শুরু হওয়া বাদল অধিবেশনে একদিনও সেভাবে কাজ হয়নি ৷ বারবার মুলতুবি হয়েছে সংসদ ৷ এর মাঝেই টুইট করে সংসদে সেন্সরশিপ নিয়ে সরব হয়েছেন ডেরেক ও ব্রায়েন ৷ তাঁর অভিযোগ সংসদের রেকর্ড থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে মণিপুরের বিষয়টি ৷
আরও পড়ুন: 'মণিপুর ইস্যুতে আলোচনায় বসুন', হাত জোর করে অনুরোধ অনুরাগের
তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক টুইট করে লিখেছেন, "সংসদে সেন্সরশিপ ! প্রধানমন্ত্রীর উচিত সংসদে মণিপুর নিয়ে মুখ খোলা ৷ কথা বলা ৷" একই সঙ্গে, মণিপুর নিয়ে কথা বলার মধ্যে অসংসদীয় কী আছে, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন ডেরেক ৷ তিনি লিখেছেন, "কেন মণিপুরের বিষয়টি আমার বক্তৃতা থেকে বাদ দেওয়া হল?" যদিও পালটা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জীতেন্দ্র সিং বলেন, "সংসদের অধিবেশনের প্রথম দিনই মণিপুর সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি কী বলেছিলেন তা সকলেই শুনেছেন। এতে নতুন করে যোগ করার মতো আর বেশি কিছু নেই ৷ এবং তিনি যা বলেছেন তাতে স্পষ্ট সরকার এবং প্রধানমন্ত্রীর অভিপ্রায় কী আছে।"