কলকাতা, 8 ডিসেম্বর: কোনও প্রভাবই ফেলতে পারেনি ভারত জোড়ো যাত্রা ৷ গুজরাতে দাঁড়াতেই পারল না কংগ্রেস (Failure of Congress in Gujarat)। মোদি রাজ্যে সোনিয়া-রাহুলদের ব্যর্থতায় বিজেপির বিকল্প মুখ হিসাবে দেশে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উত্থান দেখছে তৃণমূল কংগ্রেস। যেভাবে গুজরাতে কংগ্রেসের ভরাডুবি হয়েছে, তাতে দেশের প্রধান বিরোধী শক্তি হিসেবে কংগ্রেসের গ্রহণযোগ্যতা বড় ধাক্কা খেয়েছে। এমনটাই মনে করছে এরাজ্যের শাসক দল (TMC claims Mamata as Face of Opponents) ।
ইতিমধ্যেই তৃণমূল শিবির থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, কংগ্রেসের আত্মসমীক্ষা করা প্রয়োজন । 2024 লোকসভা ভোটের আগে ময়দান তৈরি করতে গুজরাত ভোটে 'হাত'যশ দেখার অপেক্ষাতেই ছিল বিরোধীরা । দলিত সমস্যা, বিলকিস বানো ঘটনার সাম্প্রতিক রায়ের মতো ইস্যুগুলিকে সামনে রেখে কোমর বেঁধে নেমেছিল কংগ্রেস। কিন্তু সেসব কিছুই কাজে লাগাতে পারল না শতাব্দীপ্রাচীন দল ।
হিমাচলে ভালো ফল করলেও গুজরাতে কোনভাবেই দাঁত ফোটাতে পারল না কংগ্রেস । এদিন গুজরাত নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেন, "কংগ্রেসের আত্মসমালোচনার প্রয়োজন। হিমাচল প্রদেশে বিজেপির বিরুদ্ধে যে লড়াইটা দিয়েছে কেন সেটা গুজরাতে দেওয়া গেল না । কংগ্রেস ভারত জোড়ো যাত্রা করছে কিন্তু গুজরাতকে জুড়তে পারছে না। গুজরাতে তো মূল লড়াই ছিল বিজেপি বনাম কংগ্রেস। সেখানে খুব ভালো ফল করে দেখানোর জায়গা ছিল। ফাঁকা মাঠে দেখানোর সুযোগ ছিল কীভাবে নরেন্দ্র মোদির রাজ্যে জয়ের রথ এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যায়। যারা গুজরাতে ব্যর্থ হলেন তারা কীভাবে একক শক্তিতে দিল্লি সামলাতে পারবেন! আর সে কারণেই আমরা বলছি কংগ্রেসের আত্মসমালোচনা বিশেষভাবে জরুরি।"