হায়দরাবাদ, 6 মার্চ:আবির মাখা দোল উৎসব হোক, কিংবা রঙিন হোলি (Holi 2023), তাতে মেতে উঠতে ভালো লাগে আট থেকে আশির ৷ কিন্তু, কখনও কখনও এই উৎসব অনেক সমস্য়া তৈরি করে ৷ আবির মেখে বা রং খেলে অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়েন ৷ দেখা দেয় নানা ধরনের শারীরিক সমস্য়া ৷ কোনও কোনও সময় এই সমস্যা দীর্ঘস্থায়ী হয় ৷ তাই রঙের উৎসবে মাতোয়ারা হওয়ার আগে কিছু বিষয়ে সতর্ক হওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসক ও বিশেষজ্ঞরা ৷
পেশায় চিকিৎসক রাজেশ শর্মা বলেন, দোল ও হোলির পরবর্তী সময় অনেকেরই চামড়ার অসুখ হয় ৷ কেউ কেউ শ্বাসকষ্টে ভোগেন ৷ এমনকী, অনেকের ক্ষেত্রে পাকস্থলীতে সংক্রমণের মতো ঘটনাও ঘটে ৷ ফলত, খাবার হজম করতে সমস্যা হয় ৷ ডা. শর্মা জানালেন, এই সমস্যাগুলি নতুন কিছু নয় ৷ কিন্তু, ইদানীং এই ধরনের সমস্য়ায় জটিলতা বাড়ছে ৷ এর কারণ মূলত দু'টি ৷ প্রথমত, আবহাওয়া ও জলবায়ুর ব্যাপক পরিবর্তন এবং দ্বিতীয়, নিত্যনতুন ভাইরাসের হামলা ৷ তাই দোল খেলার আগে শিশু ও প্রবীণদের বাড়তি সাবধানতা অবলম্বন করা দরকার ৷
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দোল খেলার সেরা উপায় হল, ভেষজ আবির ৷ প্রথমত, আবির ধুলেই পরিষ্কার হয়ে যায় ৷ তা জলে গোলা রঙের মতো দিনের পর দিন চামড়ায় লেগে থাকে না ৷ দ্বিতীয়ত, ভেষজ আবির পরিবেশবান্ধব হওয়ায় তাতে কারও কোনও ক্ষতি হয় না ৷
অন্য়দিকে, জলে গোলা রং কোনও কোনও ক্ষেত্রে এক সপ্তাহেরও বেশি চামড়ায় লেগে থাকে ৷ এই রঙের রাসায়নিক এমনিতেই শরীরের পক্ষে ক্ষতিকর ৷ বিশেষ করে চোখ, মুখ বা নাকে ঢুকে গেলে তা বড়সড় সমস্যা তৈরি করতে পারে ৷ উপরন্তু, অনেক সময় চামড়ার রঙিন অংশ দিয়ে বিভিন্ন ধরনের জীবাণু সহজেই ত্বকের মাধ্যমে শরীরে প্রবেশ করে ৷ তাছাড়া, ভারতীয়রা মূলত হাত দিয়ে খাবার খান ৷ সেক্ষেত্রে রাসায়নিক রং খাবারের মাধ্যমে পেটে চলে যায় ৷ এই সমস্ত বিষয়গুলিই অত্যন্ত বিপজ্জনক হতে পারে ৷ তাই এগুলি যথাসম্ভব এড়িয়ে চলা দরকার ৷ সেক্ষেত্রে ভেষজ আবির একমাত্র বিকল্প ৷ এছাড়াও, রং বা আবির খেলার পর ভালো করে সাবান ও শ্যাম্পু দিয়ে স্নান করতে হবে ৷ যাতে শরীর থেকে যতটা সম্ভব রং তুলে দেওয়া যায় ৷
আরও পড়ুন:দোলে সারমেয়দের গায়ে রং না-দেওয়ার আর্জি ইমনের, অন্য প্রতিবাদে সরব শ্রীলেখারাও
পাশাপাশি, দোল উৎসবের এই সময়টায় খাদ্যতালিকাও নিয়ন্ত্রণে রাখার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা ৷ তাঁরা বলছেন, এই সময় একেবারেই বাইরের খাবার খাওয়া উচিত নয় ৷ এই সময় গরম ধীরে ধীরে বাড়ে ৷ তাই তেল, মশলা, ভাজাভুজি এড়িয়ে ঘরে তৈরি হালকা খাবার খাওয়াই বাঞ্ছনীয় ৷ সঙ্গে প্রচুর পরিমাণে জল, ফলের রস খাওয়া দরকার ৷ এবং খাবার খাওয়ার আগে অবশ্যই ভালো করে সাবান দিয়ে হাত ধোওয়া প্রয়োজন ৷