পশ্চিমবঙ্গ

west bengal

ETV Bharat / bharat

Namesake girls: নাম-বাড়ি-স্কুল-চাকরি-পদ-কর্মস্থল সবই এক তিন কন্যার - তেলাঙ্গানার খবর

নাম, বাড়ি, স্কুল, চাকরি, পদ, কর্মস্থল - সবই এক তিন কন্যার (Namesake girls) ৷ তেলাঙ্গানার এই তিন মেয়ে আজ খবরের শিরোনামে (girls with same name went to same school get same job) ৷

three-girls-with-same-name-went-to-same-school-get-same-job-at-same-location
থাম্বনেইল

By

Published : Mar 15, 2022, 3:03 PM IST

নির্মল, 15 মার্চ:মোরে মৌনিকা, সিব্বুলা মৌনিকা ও কুন্তা মৌনিকা (Namesake girls) ৷ এই তিন কন্যার পদবী আলাদা হলেও নাম এক ৷ এতে অবশ্য নতুন কিছু নেই ৷ অনেকেরই তো এক নাম হয় ৷ তবে মজাটা বোঝা যাবে অন্য আরও কয়েকটি বিষয়ে নজর রাখলে ৷ তিনজনের গ্রাম একই জোনে ৷ তাঁরা পড়েছেন একই স্কুলে ৷ তিনজনেই একই সরকারি চাকরির জন্য আবেদন করেছিলেন ৷ একই ধরনের কাজের জন্য তিনজনেই নিযুক্ত হয়েছেন ৷ এখানেই শেষ নয় ৷ এখন তাঁরা একই জায়গায় একই অফিসে কর্মরত ৷ আর এ ভাবেই অন্যদের থেকে আলাদা হয়ে গিয়েছে এই নেমসেকের গল্প ৷

তিন কন্যা থাকেন তেলাঙ্গানার (Telangana news) নির্মল জেলার লোকেশ্বরম জোনে ৷ দশম শ্রেণি পর্যন্ত তাঁরা পড়েছেন একই স্কুলে, সারদা বিদ্যামন্দির ৷ এসএসসি দিয়ে এই তিন কন্যাই 2014-2016 সালে এগ্রিকালচার ডিপ্লোমা করেন ৷ তারপর তাঁরা তেলাঙ্গানা সরকারের এগ্রিকালচার পদের চাকরির জন্য আবেদন করেন ৷ চাকরির পরীক্ষায় সফল হন তিনজনই ৷ তাঁদেরকে নির্মল জেলার লোকেশ্বরম জোনের গডচন্দা ক্লাস্টারে পোস্টিং দেওয়া হয় ৷ সেখানে তিনজনই কাজে যোগ দেন এগ্রিকালচার এক্সটেনশন অফিসার হিসেবে ৷ তাঁদের কাজের ধারাও প্রায় একই ৷

আরও পড়ুন:Karnataka HC dismiss Hijab row : হিজাব পরা ধর্মীয় রীতি নয়, মামলা খারিজ কর্নাটক হাইকোর্টে

তাঁরা ভিন্ন তিন পরিবারের মেয়ে (girls with same name went to same school get same job) ৷ অথচ নামে এক, স্কুল এক, চাকরির দায়িত্ব এক, কাজ এক, কর্মস্থল এক - ছোট থেকেই যেন এক সুতোয় বাঁধা পড়ে গিয়েছে তাঁদের জীবন ৷ তাঁদের নাম রাখার সময় বাবা-মা হয়তো ভাবেনওনি, সেই নাম দিয়েই একটা আশ্চর্য সম্পর্ক শুরু হতে চলেছে এই তিন কন্যার ৷ তাঁরা নিজেরাও এতে বেজায় খুশি ৷

তাঁরা বললেন, "আমার ছেলেবেলার বন্ধুর সঙ্গেই কাজ করছি, নিজেকে খুবই ভাগ্যবতী বলে মনে করি ৷ আমরা একই স্কুলে পড়াশোনা করেছি ৷ এখন আমরা একই অফিসে কাজ করি ৷ আমাদের নামও এক ৷ মানুষ যখন আমাদের অফিসে আসেন, তখন তাঁরা আমাদের এক নামের কারণে একটু ধন্ধে পড়ে যান ৷ বেশিরভাগ সময়ই অন্য মৌনিকাদের সঙ্গে আমায় গুলিয়ে ফেলেন অনেকে ৷ আমরা আমাদের স্কুলকেও সবসময় মিস করি ৷ মাঝেমাঝে স্কুলে যাই ও শিক্ষক-প্রিন্সিপালের সঙ্গে কথা বলে আসি ৷ তাঁরা আমাদের নিয়ে খুবই গর্বিত ৷ আমরা একই জায়গায় সরকারি চাকরি পাওয়ায় আমাদের প্রিন্সিপাল স্যারও খুব খুশি ৷"

ABOUT THE AUTHOR

...view details