রাতলাম (মধ্যপ্রদেশ), 1 এপ্রিল: রাক্ষস রাজ রাবণের নাক কাটা হয় এখানে ৷ এটাই উৎসব মধ্যপ্রদেশের চিলকানা গ্রামে ৷ দশমুণ্ডধারী রাবণের কুশপুত্তলিকা পোড়ানোর রীতি সবাই জানে ৷ কিন্তু এখানে লঙ্কাধিপতির নাক কেটে উৎসব পালিত হয় গ্রামে ৷ প্রতি বছর এই অভিনব উৎসবে রাবণের নাক কাটা দেখতে হাজির হন হাজার হাজার মানুষ ৷
এটা নিছক উৎসব নয় ৷ এর মধ্যে দিয়ে একটা বার্তা দিতে চান গ্রামবাসীরা ৷ মহিলাদের শ্রদ্ধা করতে না পারলে তাঁর কঠিন শাস্তি হবে, তাঁকে ভুগতে হবে ৷ দুনিয়ার কাছে এই কথা জানাতে চায় গ্রামবাসীরা ৷ এ যেন রামায়ণের আরেকটা ঘটনাকে মনে করিয়ে দেয় ৷ রামচন্দ্রের ভাই লক্ষ্মণ রাবণের বোন শূর্পণখার নাক কেটে দিয়েছিলেন ৷ আর বোনের অপমানের প্রতিশোধ নিতে সীতাকে অপহরণ করে তুলে নিয়ে গিয়েছিলেন লঙ্কার রাজা রাবণ ৷ আর এই নিয়েই রাম-রাবণের যুদ্ধ বাঁধে ৷ যা আমাদের সবারই জানা ৷
শারদীয়া নবরাত্রিতে সারা দেশে লঙ্কাধিপতি দশাননের কুশপত্তলিকা পুড়িয়ে অশুভ শক্তির নাশ করা হয় ৷ চৈত্র নবরাত্রিতে মধ্যপ্রদেশের রাতলাম গ্রামে এই রীতির প্রচলন থাকলেও তা একটু আলাদা ৷ দশকের পর দশক ধরে রাক্ষসরাজ রাবণের নাক কেটে উৎসব পালিত হয় এখানে ৷ যা দেখতে বহু সংখ্যক মানুষ জড়ো হন ৷ একদল রামের সেনা এবং আরেকদল রাবণের সৈন্যবাহিনী ৷ দুই দল মুখোমুখি হয় ৷ তাঁরা নিজেদের মধ্যে মজার কথার তীর ছোড়াছুড়ি করেন ৷ একদল সেনা লঙ্কার ভগবানের হয়ে যুদ্ধ করে ৷ আরেকদল ভগবান শ্রীরামের ধর্ম পালন করে ৷