অমৃতসর, 4 সেপ্টেম্বর :ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনে জালিয়ানওয়ালা বাগের হত্যাকাণ্ডের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে ৷ এই নারকীয় ঘটনা স্বাধীনতা লাভের লড়াইকে আরও সঙ্গবদ্ধ করেছিল ৷ তবে সেই অভিশপ্ত দিনের অনেক আগে থেকেই আরও অনেক কিছুর প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছিল ৷ 1913 সালের গদর আন্দোলন এবং 1914 সালের কোমাগাটা মারুর ঘটনা পঞ্জাবের বাসিন্দাদের মধ্যে বিপ্লবের ভাবনা জাগিয়ে তুলেছিল ৷ এদিকে, 1914 সালেই শুরু হয় প্রথম বিশ্বযুদ্ধ ৷ তাতে ব্রিটিশ বাহিনীর পক্ষে 1 লাখ 95 হাজার ভারতীয় সেনা যুদ্ধে যোগদান করেন ৷ তাঁদের মধ্যে 1 লাখ 10 হাজারই পঞ্জাবের মানুষ ছিলেন ৷ জাতীয়তাবাদ এবং দেশাত্মবোধ তাঁদের মধ্যে ভরপুর ছিল ৷ তাঁরা দুনিয়া দেখেছিলেন ৷ তাঁরা বুঝে গিয়েছিলেন দেশের অর্থ কী ? ব্রিটিশের ভয় ছিল, এই সেনারা যদি ক্ষেপে ওঠেন, তবে তাঁদের সামলানো কঠিন হয়ে যাবে ৷ তাঁদের ঠেকানোর মতো কঠোর কোনও আইন ব্রিটিশরাজের হাতে ছিল না ৷ পঞ্জাবের পরিস্থিতি বদলাচ্ছিল ৷ আর তাই ব্রিটিশ সরকারও নতুন আইন আনার কথা ভাবতে শুরু করে ৷ এই ভাবনাই রাওলাট আইনের পটভূমি তৈরি করে ৷ ব্রিটিশ সরকার এই বিষয়ে কথাবার্তা শুরু করতেই প্রতিবাদের পারদ চড়তে শুরু করে ৷ স্থানীয় সংবাদপত্রগুলিও তা ফলাও করে ছাপাতে শুরু করে ৷
আরও পড়ুন :Independence Special : ঝাড়খণ্ডের আদিবাসীদের পরাক্রমে অস্ত্র সংবরণে বাধ্য হয়েছিল ব্রিটিশরা
সত্যাগ্রহ আন্দোলনের মাধ্যমে গোটা দেশে এই কালা কানুনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ গড়ে ওঠে ৷ পঞ্জাবের নানা অংশের প্রতিবাদ, বিক্ষোভ হয় ৷ অমৃতসরেও প্রতিবাদ কর্মসূচির আয়োজন করা হয় ৷ দুই নেতাকে গ্রেফতার করার পর অমৃতসরের পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে ৷ কর্তা জয়মাল সিং, হল বাজার এবং উচা পুল এলাকায় 20 হাজারেরও বেশি মানুষ প্রতিবাদে সামিল হন ৷ কয়েকটি জায়গায় পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যাওয়ার পরই জলন্ধর ক্য়ান্টনমেন্ট বোর্ড থেকে সেনা কর্তা জেনারেল আর ডায়ারকে ডেকে পাঠান পঞ্জাবের লেফটেন্যান্ট গভর্নর মাইকেল ও’ডিউয়ার ৷