তেলাঙ্গানা, 8 নভেম্বর: টিআরএস বিধায়কদের টোপ দেওয়ার মামলায় (MLA Baiting Case) গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশ দিল তেলাঙ্গানা হাইকোর্ট (Telangana High Court)। এই মামলায় তদন্ত বন্ধের জন্য জারি করা আগের স্থগিতাদেশ তুলে নিল আদালত ৷ মইনাবাদ থানার পুলিশকে এই মামলাটির তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ।
বিজেপি নেতা প্রেমেন্দ্র রেড্ডি বিধায়কদের টোপ দেওয়ার মামলায় হাইকোর্টে আবেদন করেছিলেন । দু পক্ষের সওয়াল-জবাব শোনার পর মইনাবাদে দায়ের করা মামলার তদন্ত স্থগিত করেছিল হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চ । প্রেমেন্দ্র রেড্ডি পিটিশনে অনুরোধ করেছিলেন যে, এই মামলাটির তদন্ত সিবিআই বা বিশেষ তদন্ত সংস্থা করুক ।
আজ এই মামলার শুনানিতে তদন্ত বন্ধে আগের স্থগিতাদেশ বাতিলের নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট । এ বিষয়ে আদালতের বেঞ্চ বলেছে, এ ধরনের মামলায় দীর্ঘ সময় তদন্ত বন্ধ রাখা ঠিক নয় । হাইকোর্টের সর্বশেষ রায়ে বিধায়কদের টোপ দেওয়ার মামলায় তদন্তে গতি আনার পথ স্পষ্ট করেছে মইনাবাদ পুলিশ । হাইকোর্ট পুলিশকে তদন্তের অগ্রগতি সম্পর্কে রিপোর্ট দাখিল করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ৷ এ মাসের 18 তারিখ পর্যন্ত শুনানি মুলতবি করা হয়েছে । হাইকোর্ট আজ স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করে নেওয়ায় তিন অভিযুক্তকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে ।
আরও পড়ুন:ভারত জোড়ো যাত্রা পৌঁছল তেলাঙ্গানায়, 3 দিনের বিরতিতে দিল্লির পথে রাহুল
তেলাঙ্গানায় টিআরএস বিধায়কদের কেনার বিষয়ে দরকষাকষির ঘটনায় রাজ্যে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছিল । গত সপ্তাহে বুধবার রাতে, সাইবরাবাদ পুলিশ তাদের প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে হায়দরাবাদের মইনাবাদের শহরতলির আজিজনগরে তন্দুরের বিধায়ক পাইলট রোহিত রেড্ডির খামারবাড়িতে তল্লাশি চালায় । পুলিশের মতে, টিআরএস-এর আচামপেটা, পিনাপাকা, কোলহাপুর এবং তন্দুরের বিধায়ক, গুভভালা বালারাজু, রেগা কাঁথা রাও, হর্ষবর্ধন রেড্ডি এবং রোহিত রেড্ডিকে কেউ প্রলুব্ধ করেছিল ৷ এই বিধায়করা দলবদল করলে তাঁদের টাকা ও পদ দেওয়া হবে বলে লোভ দেখানো হয়েছিল । এই মামলায় রামচন্দ্র ভারতী, সিংহাজি ও নন্দ কুমারকে গ্রেফতার করা হয় ।