হায়দরাবাদ, 8 অক্টোবর : আত্মীয়ের হাতে ধর্ষিতা নাবালিকার গর্ভপাতের আবেদন মেনে নিল তেলাঙ্গনা হাইকোর্ট (Telangana High Court) ৷ আদালতের নির্দেশ, বিশেষজ্ঞ মেডিক্যাল টিমের সহযোগিতায় অস্ত্রোপচার করতে হবে ওই কিশোরীর ৷ আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, নিগৃহীতার বাবা-মা মেয়ের গর্ভপাতের আবেদন জানিয়ে আইনের দ্বারস্থ হয়েছিলেন ৷
আরও পড়ুন :Rape : নাবালিকা ভাগ্নিকে অপহরণ করে লাগাতার ধর্ষণ, 10 বছরের কারাদণ্ড ব্যক্তির
নাবালিকার অভিভাবকদের আবেদন মেনে নিয়েছে আদালত ৷ পাশাপাশি হাইকোর্টের নির্দেশ, মেয়েটির গর্ভপাতের সময় গর্ভস্থ ভ্রূণের কলা (tissue) এবং রক্তের নমুনা সংরক্ষণ করতে হবে ৷ যাতে ভ্রূণের ডিএনএ পরীক্ষা করানো সম্ভব হয় ৷ নাবালিকার বাবা-মায়ের দাবি, যে আত্মীয় তাঁদের মেয়েকে ধর্ষণ করেছিল, সে বারবার হুমকি দিচ্ছে ৷ নিগৃহীতাকে বলা হয়েছে, যদি সে ওই আত্মীয়র পরিচয় প্রকাশ্যে আনে, তাহলে তার ফল ভাল হবে না ৷ এই অবস্থায় দোষ প্রমাণে এবং দোষীকে চিহ্নিত করতে যাতে কোনও সমস্য়া না হয়, তার জন্যই ভ্রূণের কলা ও রক্তের নমুনা সংরক্ষণ করতে বলা হয়েছে ৷
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, গত 9 সেপ্টেম্বর হঠাৎই অসুস্থ হয়ে পড়ে ওই কিশোরী ৷ সেই সময়েই তাকে স্থানীয় কোটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয় ৷ মেয়েটিকে পরীক্ষা করে চিকিৎসকরা জানান, সে গর্ভবতী এবং তার ভ্রূণের বয়স 25 সপ্তাহ ৷ এরপরই মেয়ের সঙ্গে কথা বলে তার বাবা-মা জানতে পারেন, এক আত্মীয়ের লালসার শিকার হয়েছে ওই কিশোরী ৷
আরও পড়ুন :দুই নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার 1 বৃদ্ধ
এরপর স্থানীয় থানায় ওই আত্মীয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে মেয়েটির পরিবার ৷ মামলা গড়ায় আদালত পর্যন্ত ৷ সব শুনে গর্ভপাতের নির্দেশ দেয় আদালত ৷ বিচারপতি বি বিজয়সেন রেড্ডি জানিয়ে দেন, বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের পর্যবেক্ষণেই ওই কিশোরীর গর্ভপাত করতে হবে ৷ বিচারপতি জানান, যেভাবে ওই কিশোরী গর্ভবতী হয়েছে, সেটা কখনই কাম্য নয় ৷ এই শিশু ভূমিষ্ঠ হলে সে কখনই বড় হওয়ার জন্য একটা সুস্থ পরিবেশ পাবে না ৷ উপরন্তু, নাবালিকা মায়েরও শরারীরিক অবস্থা ও মানসিক স্বাস্থ্য়ের অবনতি হতে পারে ৷ তাছাড়া, এই ঘটনায় নারীর সম্ভ্রম ও ব্যক্তি স্বাধীনতা রক্ষার অধিকারও লঙ্ঘিত হয়েছে ৷ এক্ষেত্রে আইন গর্ভপাতের অধিকার দেয় ৷ সেই আইন মাফিকই নাবালিকার গর্ভপাতের অনুমতি দিয়েছে আদালত ৷