কলকাতা, 26 অগস্ট: ভারত এবং বাংলাদেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক (India Bangladesh Diplomatic Relation) বরাবরই খুব ভালো ৷ কিন্তু তা সত্ত্বেও তিস্তা চুক্তি (Teesta Treaty) কার্যকর করার বিষয়টি নিয়ে কোনও অগ্রগতি হচ্ছে না ৷ এই অবস্থায় ঢাকা চাইছে, আগামী সেপ্টেম্বর মাসে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার (Bangladesh Prime Minister Sheikh Hasina) ভারত সফরের (India Visit) সময়েই এই নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হোক ৷ বাংলাদেশ সরকারের বক্তব্য হল, তিস্তার জলবণ্টন চুক্তি সম্পাদন করতে যত দেরি হবে, সে দেশের রাজনীতি এবং অর্থনীতিতে ততই এর প্রভাব বাড়বে ৷ তাই আর সময় নষ্ট না করে দ্রুত এই বিষয়ে পদক্ষেপ করা দরকার ৷
প্রসঙ্গত, তিস্তা নিয়ে কূটনৈতিক টানাপোড়েন নতুন কিছু নয় ৷ মনমোহন সরকারের আমলেও এই বিষয়টি নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা হয়েছিল ৷ কিন্তু, শেষ পর্যন্ত চুক্তি কার্যকর করা সম্ভব হয়নি ৷ তার অন্যতম কারণ, এই দীর্ঘ কূটনৈতিক টানাপোড়েনের প্রথম থেকেই নিজের অবস্থানে অনড় থেকেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) ৷ তাঁর যুক্তি, সিকিমে একের পর এক বাঁধ দেওয়ায় তিস্তায় জলের পরিমাণ প্রায় অর্ধেক হয়ে গিয়েছে ৷ ফলে শুখা মরশুমে নদীতে জল প্রায় আসে না বললেই চলে ৷ অথচ এই 'ভগ্ন স্বাস্থ্যের' তিস্তার উপরই নির্ভর করে থাকে উত্তরবঙ্গের বিস্তীর্ণ এলাকা ৷ এই অবস্থায় রাজ্যকে বঞ্চিত করে বাংলাদেশকে তিস্তার জল সরবরাহ করতে নারাজ মমতা ৷ এই প্রেক্ষাপটে আগামী সেপ্টেম্বর মাসে শেখ হাসিনা ভারতে এলে মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় হয়ত তাঁর সঙ্গে বৈঠকে যোগ দিতে পারেন ৷ কিন্তু, তাতেও তিস্তা চুক্তি সংক্রান্ত সমস্যা মিটবে বলে মনে করছে না ওয়াকিবহাল মহল ৷