পালঘর, 7 ডিসেম্বর: পাশের বাড়ির 8 বছরের ছোট্ট মেয়েটি প্রায়ই এসে দাদাকে একটু জ্বালাতন করত ৷ এতে বেজায় চটে গিয়ে শেষমেষ নাবালিকাকে খুনই করে বসল 16 বছরের কিশোর ৷ দেহ লোপাটে সাহায্য করল তার বাবাও ৷ ঘটনাটি ঘটেছে মহারাষ্ট্রের পালঘর জেলার পেলহার গ্রামে ৷ পুলিশ কিশোর ও তার বাবাকে গ্রেফতার করেছে ৷ জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত কিশোর আর মৃত নাবালিকা প্রতিবেশী ৷ ফলে নিত্যদিন কিশোরের বাড়িতে আসা যাওয়া গেলেই থাকত 8 বছরের মেয়েটির ৷ নাবালিকা দাদাকে এসে নানাকারণে বিরক্ত করত ৷ তার জ্বালাতনে ভীষণ রেগে যেত কিশোর ৷ সেই জ্বালাতনের হাত থেকে রেহাই পেতে নাবালিকাকে হত্যা করে দেহ বাড়িতে লুকিয়ে রাখে সে ৷
পেলহার থানার এক পুলিশ আধিকারিক বলেন, "গত শুক্রবার মেয়েটি আইসক্রিম কিনতে বাড়ি থেকে বের হওয়ার পর নিখোঁজ হয়ে যায় । পরে তার পরিবারের সদস্যরা থানায় মেয়েটির নিখোঁজের ডায়েরি করে ৷ এরপরেই পুলিশ তার সন্ধান শুরু করে । 1 ডিসেম্বর নাবালিকা নিঁখোজ হলেও তিনদিন পরেও পুলিশ তার কোনও খোঁজ পায় না ৷ শেষে 4 ডিসেম্বর বাচ্চাটির পচাগলা দেহ উদ্ধার হয় । পাশের বাড়ির একটি খালি ঘরে প্লাস্টিকের ব্যাগে পাওয়া গিয়েছিল নাবালিকাকে ৷ পুলিশ ভারতীয় দণ্ডবিধির (আইপিসি) ধারা 363 (অপহরণ), 302 (খুন) এবং 201 (অপরাধের প্রমাণ হারিয়ে যাওয়া) এর অধীনে অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে একটি মামলা নথিভুক্ত করে এবং দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য সরকারি হাসপাতালে পাঠায় ৷
তদন্তে নেমে পুলিশ দেখে দেহটি পাওয়ার পর থেকে প্রতিবেশী 16 বছরের ছেলেটি নিখোঁজ রয়েছে ৷ তখনই তদন্তকারী আধিকারিকদের সন্দেহ হয় ৷ তাকে আটক করতেই জিজ্ঞাসাবাদে খুনের কথা স্বীকার করে ওই কিশোর ৷ সে জানায়, নাবালিকার প্রতি সে বিরক্ত ছিল ৷ কারণ সে তাকে উত্যক্ত করত এবং সে তাকে একটি শিক্ষা দিতে চেয়েছিল ৷ তাই 1 ডিসেম্বর বালিকা যখন একা বাড়ি থেকে বেরিয়েছিল তখন কিশোর সুযোগের সদ্ব্যবহার করে ৷ নাবালিকাকে তার বাড়িতে টেনে নিয়ে যায় এবং তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে সে ৷ কিন্তু দেহ কী করবে বুঝতে না পারায় দু'দিন তাদের বাড়িতে লুকিয়ে রাখে এবং পরে তার বাবাকে বিষয়টি জানায়। পরে দু'জনে দেহটি তাদের একটি খালি ঘরে সরিয়ে রাখে ।