পশ্চিমবঙ্গ

west bengal

ETV Bharat / bharat

AP Teachers Arrest : দশম শ্রেণির পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁস, অন্ধ্রপ্রদেশে গ্রেফতার 42 জন শিক্ষক-শিক্ষিকা - পরীক্ষায় টোকাটুকি

দু'বছর পর হাতে-কলমে পরীক্ষা দিতে বসেছিল পড়ুয়ারা ৷ এর মধ্যেই ঘটল বিপত্তি ৷ অন্ধ্রপ্রদেশের বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকারা প্রশ্নপত্র ফাঁস করে পড়ুয়াদের টুকে লিখতে সাহায্য করেছেন ৷ ঘটনায় গ্রেফতার 42 জন শিক্ষক-শিক্ষিকা (AP Teachers Arrest) ৷

Andhra Pradesh Exam Paper Leak
অন্ধ্রপ্রদেশে পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস

By

Published : May 3, 2022, 1:28 PM IST

অমরাবতী, 3 মে : দশম শ্রেণির পরীক্ষায় পড়ুয়াদের টোকাটুকিতে উৎসাহ দিয়েছেন শিক্ষক-শিক্ষিকারা ৷ এই অভিযোগে এখনও পর্যন্ত অন্ধ্রপ্রদেশের বিভিন্ন স্কুলের প্রায় 42 জন শিক্ষক-শিক্ষিকাকে গ্রেফতার এবং বরখাস্ত করা হয়েছে ৷ জানা গিয়েছে, এই ঘটনা প্রসঙ্গে চুপ করেই ছিল শিক্ষক-শিক্ষিকাদের ইউনিয়ন ৷ কোভিডের কারণে দু'বছর বন্ধ ছিল পরীক্ষা ৷ 27 এপ্রিল প্রথম অফলাইনে দশম শ্রেণির পরীক্ষা হয় (Teachers in Andhra Pradesh arrested for Class 10 Examination malpractices) ৷

ঘটনাটি শিক্ষা দফতরের চোখে পড়ে প্রথম দিনেই ৷ পরীক্ষা শুরুর দেড় ঘণ্টা পরেই কুরনুল জেলা থেকে তেলেগু ভাষার প্রশ্নপত্রের ছবি তুলে হোয়্যাটসঅ্যাপে ছড়িয়ে দেওয়া হয় ৷ পরীক্ষার দ্বিতীয় দিন হিন্দি ভাষা এবং তৃতীয় দিন ইংরেজি ভাষার দিনেও কুরনুল, সত্য সাই এবং অন্য জেলাগুলি থেকে একইরকম ভাবে প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়ে যায় ৷ এই সময় কিছু শিক্ষক-শিক্ষিকা বহিরাগতদের সাহায্য নিয়ে প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়ে যাওয়ার গুজব রটিয়ে দেয় ৷ তাঁদের অবশ্য সঙ্গে সঙ্গে ধরে ফেলে শিক্ষা দফতর, জানালেন এক উচ্চআধিকারিক ৷ তাঁরা এভাবে পড়ুয়া এবং অভিভাবকদের মধ্যে একটা উদ্বেগ তৈরির চেষ্টা করছিলেন ৷

আরও পড়ুন : Minor Rape in Madhya Pradesh : পরীক্ষায় পাসের লোভ দেখিয়ে নাবালিকাকে ধর্ষণ, অভিযুক্ত ধর্মগুরু

সংশ্লিষ্ট জেলাগুলির কালেক্টর পুলিশের সাহায্য নিয়ে অভিযুক্তদের ধরে ফেলেন এবং গ্রেফতার করেন ৷ তাঁদের বিরুদ্ধে এপি পাবলিক একজামিনেশন অ্যাক্ট, 1997 ধারায় (AP Public Examinations (Prevention of Malpractices and Unfair Means) Act, 1997) অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে ৷ 25 বছর আগে এই আইন কার্যকর হলেও এই প্রথম বার এই অ্যাক্টের আওতায় শিক্ষক-শিক্ষিকাদের অন্যায় কাজকর্মের জন্য গ্রেফতার করা হল ৷ যদিও অনেক পরীক্ষাতেই অসৎ উপায় অবলম্বন করাটা একটা স্বাভাবিক ব্যাপার ৷ এই প্রথমবার কঠিন পদক্ষেপ করল শিক্ষা দফতর, জানালেন উচ্চাধিকারিক ৷

স্কুল এডুকেশন কমিশনার এস সুরেশ কুমার (School Education Commissioner S Suresh Kumar) সব জেলা শিক্ষা আধিকারিকদের এই ঘটনা নিয়ে সচেতন করেন ৷ তিনি চিহ্নিত করে দেন, পরীক্ষার ডিউটি না থাকলেও অ-অনুমোদিত শিক্ষক-শিক্ষিকারা পরীক্ষাকেন্দ্রে উপস্থিত ছিলেন ৷ পরিদর্শক এবং অন্য অনেক কর্তব্যরত ব্যক্তি মোবাইল ফোন কাছেই রেখেছিলেন ৷ প্রশ্নপত্রের ছবি তুলে তা অন্যদের কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হয় ৷

ABOUT THE AUTHOR

...view details