সাম্বা (জম্মু ও কাশ্মীর), 3 এপ্রিল: পাকিস্তানের সীমান্তের ওপার থেকে পাঠানো ড্রোনে ভারতের দিকে আগ্নেয়াস্ত্র ফেলার অভিযোগ উঠল ৷ সোমবার জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশের তরফে এই দাবি করা হয়েছে ৷ তাদের দাবি, স্থানীয় বিজয়পুর এলাকায় ঘটনাটি ঘটে ৷ সেখানেই ড্রোন থেকে আগ্নেয়াস্ত্র ফেলে যাওয়ার বিষয়টি নজরে এসেছে ৷ তার পরই জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশের তরফে বাড়তি সতর্কতা নেওয়া হয়েছে ৷ এলাকায় তল্লাশি অভিযান শুরু হয়েছে ৷
জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশের তরফে জানা গিয়েছে, বিজয়পুরের বারোটিয়া এলাকায় রেললাইনের পাশে ওই আগ্নেয়াস্ত্র পড়ে থাকতে দেখা যায় ৷ স্থানীয় কয়েকজন প্রথমে বিষয়টি দেখেন ৷ তাঁরাই পুলিশকে খবর দেন ৷ তার পর পুলিশ যায় ঘটনাস্থলে ৷ খবর দেওয়া হয় বম্ব স্কোয়াডকে ৷ বম্ব স্কোয়াড গিয়ে পরীক্ষা করে দেখে যে সেখানে বোমা রাখা হয়েছে কি না ৷
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, উদ্ধার হওয়া ব্যাগ থেকে পিস্তল ও হ্যান্ড গ্রেনেড উদ্ধার করা হয়েছে ৷ একটি ড্রোনও উদ্ধার হয়েছে এলাকা থেকে ৷ সেটা দেখেই পুলিশের সন্দেহ যে ওই ড্রোনেই অস্ত্র এসেছে ৷ প্রসঙ্গত, গত কয়েকমাসে পাকিস্তানের দিক থেকে আন্তর্জাতিক সীমান্ত পেরিয়ে ভারতের সীমানায় ড্রোন ঢুকে পড়ার একাধিক ঘটনা ঘটেছে ৷ অধিকাংশ ক্ষেত্রেই বিএসএফের তরফে গুলি করে ওই ড্রোনগুলি নামানো হয় ৷ অনেক সময় ড্রোন থেকেই নানা আগেয়াস্ত্র, আগ্নেয়াস্ত্র তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধার হয়েছে ৷ এমনকী, মাদকও উদ্ধার হয়েছে একাধিকবার ৷
উল্লেখ্য, দিন কয়েক আগে জম্মু ও কাশ্মীরের কাঠুয়ায় আন্তর্জাতিক সীমান্তের কাছে একটি বিস্ফোরণ হয় ৷ গমের খেতের মধ্যে হওয়া এই বিস্ফোরণের তদন্ত এখনও করছে হীরানগর থানা ৷ তবে এখনও পর্যন্ত জঙ্গিযোগের কোনও সূত্র মেলেনি ৷ এছাড়া ড্রোন পাকিস্তানের দিক থেকে উড়ে আসার ঘটনা শুধু জম্মু ও কাশ্মীর নয়, পঞ্জাবেও প্রায়ই ঘটে ৷ ড্রোনের মাধ্যমে এভাবে অস্ত্রপাচার ও মাদক পাচার বৃদ্ধির ঘটনা উদ্বেগজনক বলে মেনেও নিচ্ছেন পুলিশ ও প্রশাসনের আধিকারিকরা ৷ তাঁদের কথায়, এই নিয়ে কড়া নজরদারি চালানো হচ্ছে ৷ তার পরও যে নজর এড়িয়ে ড্রোন এপারে চলে আসছে, তার উদাহরণ বিজয়পুরের ঘটনা ৷
আরও পড়ুন:জম্মুতে পাকিস্তানি ড্রোন লক্ষ্য করে বিএসএফের গুলি, চলছে তল্লাশি