পশ্চিমবঙ্গ

west bengal

ETV Bharat / bharat

Hate Speech: ঘৃণাভাষণ বন্ধ করতে ব্যর্থ সরকার, জবাব তলব শীর্ষ আদালতের

দেশে ঘৃণাভাষণের (Hate Speech) বাড়বাড়ন্তে উদ্বিগ্ন শীর্ষ আদালত (Supreme Court) ৷ হরপ্রীত মনসুখানি (Harpreet Mansukhani) নামে এক ব্যক্তির করা মামলার প্রেক্ষিতে দিল্লি এবং উত্তরাখণ্ড সরকারের কাছে জবাব তলব করল প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ ৷

Supreme Court sought answers from Delhi and Uttarakhand Government over Hate Speech
Hate Speech: ঘৃণাভাষণ বন্ধ করতে ব্যর্থ সরকার, জবাব তলব শীর্ষ আদালতের

By

Published : Oct 11, 2022, 2:03 PM IST

নয়াদিল্লি, 11 অক্টোবর: দেশে ঘৃণাভাষণ (Hate Speech) বন্ধ করতে সরকার ব্যর্থ হয়েছে ৷ একটি মামলার প্রেক্ষিতে এমনটাই তার পর্যবেক্ষণে জানাল শীর্ষ আদালত (Supreme Court) ৷ সোমবার প্রধান বিচারপতি ইউ ইউ ললিত (Chief Justice UU Lalit) এবং বিচারপতি এস রবীন্দ্র ভাটের (Justice S Ravindra Bhat) বেঞ্চে সংশ্লিষ্ট মামলাটি শুনানির জন্য ওঠে ৷ মামলাকারীর নাম হরপ্রীত মনসুখানি (Harpreet Mansukhani) ৷ দেশে ক্রমশ বেড়ে চলা ঘৃণাভাষণ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন তিনি ৷ তাঁর সঙ্গে সহমত পোষণ করেছে শীর্ষ আদালতও ৷ একইসঙ্গে প্রধান বিচারপতির বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, এই ধরনের কটূ কথা বন্ধ করতে কোনও ব্যবস্থাই নিচ্ছে না সরকার পক্ষ ! অথচ, এমন ঘৃণাভাষণ অবিলম্বে বন্ধ হওয়া জরুরি ৷

সোমবারের এই মামলা প্রসঙ্গে বেঞ্চের তরফে মামলাকারীকে বলা হয়, "আপনি একদমই সঠিক কথা বলেছেন ৷ এই ধরনের ঘৃণাভাষণ সমগ্র পরিবেশকে নষ্ট করছে ৷ অবিলম্বে এসব বন্ধ হওয়া দরকার ৷" এই মামলার শুনানি চলাকালীন এজলাসে উপস্থিত ছিলেন হরপ্রীত ৷ তাঁর অভিযোগ নির্দিষ্ট কোনও লক্ষ্য পূরণের কথা মাথায় রেখেই ঘৃণাভাষণ পরিবেশিত হয়ে থাকে । শীর্ষ আদালত মনে করে মামলাকারীর বক্তব্য গুরুত্বপূর্ণ ৷ প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ এ নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ৷

আরও পড়ুন:হরিদ্বারে বিদ্বেষমূলক মন্তব্য মামলায় গ্রেফতার যতি নরসিংহানন্দ গিরি

এই মামলারই প্রেক্ষিতে দিল্লি সরকার এবং উত্তরাখণ্ড সরকারের কাছে জবাব তলব করেছে শীর্ষ আদালত ৷ গত বছর এই দুই জায়গায় আয়োজিত ধর্মীয় সম্মলনে যে ঘৃণাভাষণ দেওয়ার অভিযোগ ওঠে, সেই ঘটনায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কী পদক্ষেপ করেছিল সংশ্লিষ্ট পুলিশ প্রশাসন ? দুই সরকারের কাছে তা জানতে চেয়েছে সুপ্রিম কোর্ট ৷ উল্লেখ্য, গত বছরের 17 থেকে 19 নভেম্বর হরিদ্বারে আয়োজিত ধর্ম সংসদে নির্দিষ্ট একটি সম্প্রদায়ের মানুষের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছিল ! ধর্মীয় অনুষ্ঠানের মঞ্চ ব্যবহার করে একাধিক ধর্মগুরুর বিরুদ্ধে হিংসায় উস্কানি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল ৷

এদিকে, সোমবার এই মামলার শুনানি চলাকালীন 'দ্য কাশ্মীর ফাইলস' সিনেমাটির প্রসঙ্গও টেনে আনেন মামলাকারী ৷ তিনি বলেন, "ঘৃণাভাষণ একটি লাভজনক ব্যবসায় পরিণত হয়েছে ৷ একটি নির্দিষ্ট দল 'দ্য কাশ্মীর ফাইলস'কে আর্থিক সহযোগিতা করেছিল এবং তারপর, আমি প্রমাণ করতে পারি, কীভাবে এটিকে অর্থসাহায্য করা হয়েছিল এবং পরে সেটি করছাড় পায় ৷"

মামলাকারীর যুক্তি, ঘৃণাভাষণ আদতে একটি তিরের মতো ৷ যা একবার ছোড়া হলে আর ফেরানো যায় না ৷ এরই প্রেক্ষিতে প্রধান বিচারপতি বলেন, "এই সমস্ত ক্ষেত্রে পদক্ষেপ করার জন্য আদালতের কাছে সঠিক তথ্য থাকা দরকার ৷ আমাদের কিছু উদাহরণ চাই ৷ না হলে আর পাঁচটা মামলার সঙ্গে এর কোনও ফারাক থাকবে না ৷"

একথা শোনার পর মামলাকারী জানান, তিনি নিজেই এই ধরনের ঘৃণাভাষণ সংক্রান্ত তথ্য আদালতে জমা দিতে চান ৷ এগুলির ক্ষেত্রে কোনও ফৌজদারি মামলা রুজু করা হয়নি ৷ এর জন্য আদালত মামলাকারীকে আগামী 31 অক্টোবর পর্যন্ত সময় দিয়েছে ৷ মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে আগামী 1 নভেম্বর ৷

ABOUT THE AUTHOR

...view details