নয়াদিল্লি, 3 অক্টোবর:কৃষ্ণ জন্মভূমি ও শাহি ইদগাহ মসজিদ বিবাদ মামলায় মঙ্গলবার এলাহাবাদ হাইকোর্টের কাছ থেকে তথ্য ও নথি চেয়ে পাঠাল সুপ্রিম কোর্ট ৷ শীর্ষ আদালত এদিন হাইকোর্টের আধিকারিকদের মনে করিয়ে দিয়েছে যে, এই বিষয়ে কোনও তথ্য এখনও হাইকোর্টের তরফে সুপ্রিম কোর্টে জমা পড়েনি ৷ এই নথিগুলি পাঠানোর পাশাপাশি এলাহাবাদ হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট রেজিস্ট্রারকেও পরবর্তী শুনানির দিন সুপ্রিম কোর্টে হাজিরা দিতে বলেছে শীর্ষ আদালত ৷ বিচারপতি সঞ্জয় কিষাণ কৌল ও সুধাংশু ধুলিয়ার বেঞ্চে এদিন এই মামলার শুনানি হয় ৷ মামলার পরবর্তী শুনানি 30 অক্টোবর ৷
এর আগে গত 21 জুলাই সুপ্রিম কোর্ট এলাহাবাদ হাইকোর্টকের রেজিস্ট্রারকে নির্দেশ দিয়েছিল, কৃষ্ণ জন্মভূমি ও শাহি ইদগাহ মসজিদ বিবাদ মামলার নথি আদালতে জমা দিতে ৷ চলতি বছরের মে মাসে এলাহাবাদ হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল কৃষ্ণ জন্মভূমি ও শাহি ইদগাহ মসজিদ বিবাদ সম্বন্ধীয় সমস্ত মামলা মথুরা কোর্ট থেকে হাইকোর্টে ট্রান্সফার করতে হবে ৷ এর বিরুদ্ধেই মামলা হয় সুপ্রিম কোর্টে ৷ এরপরেই এই মামলার নথি হাইকোর্টের থেকে চেয়ে পাঠায় সুপ্রিম কোর্ট ৷
এদিন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিরা জানান, আগে তাঁদের জানতে হবে এই বিষয়ে কী কী মামলা হয়েছে এবং পক্ষে বিপক্ষে কী যুক্তি উঠে এসেছে ৷ বিচারপতিরা জানান, তাঁরা এর আগে এই মামলার যে সমস্ত নথি হাইকোর্টের থেকে চেয়ে পাঠিয়েছিলেন তা এখনও পাঠানো হয়নি ৷ এরপরেই ওই নথি এদিন ফের চেয়ে পাঠিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট, হাইকোর্টের রেজিস্ট্রারকেও শীর্ষ আদালতে হাজিরা দিতে বলে হয়েছে ৷ এদিন মামলাকারীর আইনজীবীর তরফে সুপ্রিম কোর্টে জানানো হয়, এই মামলা যদি এলাহাবাদ হাইকোর্টে সরানো হয় তাহলে সমস্যা হবে, কারণ তাঁর মক্কেলদের এতদূর যাতায়াতের আর্থিক সঙ্গতি নেই ৷ মসজিতের কাছাকাছি কোথাও এই মামলা সরানোর আবেদন জানান তিনি ৷ দিল্লিতে এই মামলা সরানোর পক্ষে সওয়াল করে আবেদনকারীর আইনজীবী জানান, মথুরা থেকে দিল্লি মাত্র 150 কিমি দূরে, কিন্তু এলাহাবাদ থেকে মথুরার দূরত্ব 600 কিমি ৷
আরও পড়ুন:নিউজক্লিকের বিরুদ্ধে তদন্ত নিয়ে বিজেপির সমালোচনায় সরব মহুয়া মৈত্র
আবেদনকারীদের তরফে এদিন সুপ্রিম কোর্টে বলা হয়, গত 50 বছর ধরে মথুরার ওই এলাকায় দুই সম্প্রদায়ের লোক শান্তিতে বসবাস করছে, কোনও সমস্যা হয়নি ৷ এখন কয়েকজন বহিরাগত ট্রাস্টের নাম করে এই এই নিয়ে বিবাদ তৈরির চেষ্টা করছে ৷ এরপরেই সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিরা ফের এই বিষয়ে যাবতীয় নথি হাইকোর্টের থেকে চেয়ে পাঠান ৷