নয়াদিল্লি, 22 অগস্ট:কেন্দ্রের আবেদন মেনে নিল সুপ্রিম কোর্ট ৷ কমিটি অব অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (CoA) এর ক্ষমতা কেড়ে নিল দেশের সর্বোচ্চ আদালত (Supreme Court orders to cancel CoA) । একই সঙ্গে সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের নির্বাচন এক সপ্তাহ পিছিয়ে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট । অগস্টের শেষ সপ্তাহের বদলে নির্বাচন হবে সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহে (Supreme Court extends AIFF Election for one week) ।
এদিন প্রায় আড়াই ঘন্টা প্রশ্নোত্তরের পর ফিফার নির্দেশ মতোই সিওএ বাতিল করে দিল সুপ্রিম কোর্ট । 28 অগস্ট এআইএফএফ-এর নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল। আপাতত সেটা এক সপ্তাহ পিছিয়ে গেল। ভোটের পুরো প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার পর 12 সেপ্টেম্বর সুপ্রিম কোর্টে ফের এই মামলার শুনানি হবে (FIFA suspends AIFF) ।
ফলে ভারতীয় ফুটবলের ওপর ঘনিয়ে ওঠা আশঙ্কার মেঘ অনেকটাই দূর হল । যা সামনের দিকে এগোনোর পথ আরও প্রশস্ত করবে । সোমবার যে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে তাতে ভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনে আদালত নিযুক্ত তিন সদস্যের প্রশাসক কমিটির আর কোনও ভূমিকা থাকল না । এদিন সকালে সুপ্রিম কোর্ট শুনানির পর সুপ্রিম কোর্ট জানিয়ে দেয়, তিন সদস্যের সিওএ'র জায়গায় ফিফার আধিকারিকদের সঙ্গে সরাসরি কথা বলবে কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রক । ফিফাও এমনটাই চেয়েছিল । নির্বাসনের চিঠিতে স্পষ্ট করে তারা জানিয়েছিল, ভারতের ক্রীড়ামন্ত্রকের সঙ্গেই কথাবার্তা বলবে তাঁরা । নির্বাচন সংক্রান্ত সমস্ত সাহায্যের প্রতিশ্রুতিও দিয়েছিল বিশ্ব ফুটবলের নিয়ামক সংস্থা ।
তবে নির্বাচনের পর নতুন কমিটি'ই ফুটবল ফেডারেশন চালাবে, তখন আর তৃতীয় পক্ষের কোনও ভূমিকা থাকবে না । এটাও ঠিক হয়েছে, ফেডারেশনের নয়া সংবিধান সংশোধন করে আদালতের কাছে জমা দিতে হবে । আদালত মান্যতা দিলে, তবেই তা ফিফায় যাবে । প্রশাসক কমিটির তরফ থেকে যে মনোনয়ন জমা দেওয়া হয়েছিল তাও বাতিল করে দিতে চলেছে সুপ্রিম কোর্ট । এদিন সিওএ-এর পক্ষের আইনজীবী আদালতে চক্রান্তের কথা জানান । তিনি বলেন, "গত দু'বছরে সিওএ-এর কোনও কাজ নিয়ে প্রশ্ন তোলেনি ফিফা । সকলেই খসড়া সংবিধান মেনে নিয়েছিলেন । তবে পেছন থেকে কেউ ফিফার কাছে অভিযোগ জানিয়েছে ।"
আরও পড়ুন: ডুরান্ড অভিযান শুরুর আগের সন্ধেয় নয়া জার্সি আত্মপ্রকাশ লাল হলুদের
এরই মাঝে আদালতে আবেদন করেন দেশের প্রাক্তন অধিনায়ক ভাইচুং ভুটিয়া । তাঁর দাবি ছিল, পুরনো খসড়া প্রস্তাবের মতই তাঁদের মনোনয়নও যেন গৃহীত হয় । তবে তা হবে কি না এখনও স্পষ্ট নয় । ভাইচুং তাঁর আবেদনে এও জানিয়েছেন, প্রাক্তন ফুটবলারদেরও কমিটিতে থাকা জরুরি ।
অন্যদিকে. ভারতীয় ফুটবলের উপর থেকে ফিফা নির্বাচন তোলার ব্যাপারে সক্রিয় হয়েছে ৷ কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর নিজেই উদ্যোগ নিয়ে ফিফার আধিকারিকদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছেন । কিছুদিন আগেই এফসি কাপে এটিকে মোহনবাগান এবং গোকুলাম কেরল এফসি-র মহিলা দলকে খেলতে দেওয়ার আবেদন জানিয়েছিল কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রক । এবার এআইএফএফ-এর নির্বাচনেও সক্রিয় ভূমিকায় দেখা যাবে অনুরাগকে । দ্রুত নির্বাচন করে ভারতীয় ফুটবলকে ব্যানের হাত মুক্তি দিতে চাইছে সবপক্ষই । তবে কোন প্রক্রিয়ায় নির্বাচন হবে ? কারা দাঁড়াতে পারবেন ? পাশাপাশি নতুন সংবিধানে কী কী বদল আসবে তা এখনও ঠিক হয়নি । তবে চেপে বসতে থাকা ফাঁস খোলার যে ইতিবাচক দিক দেখা যাচ্ছে তা স্পষ্ট ।