পশ্চিমবঙ্গ

west bengal

ETV Bharat / bharat

Kejriwal Govt Gets Power: কেন্দ্রের সঙ্গে ক্ষমতার লড়াইয়ে জয়ী দিল্লি সরকার, সুপ্রিম রায়কে কুর্নিশ কেজরির - দিল্লির প্রশাসনিক ক্ষমতা

দিল্লির পরিষেবার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে কেন্দ্র ও রাজ্য দড়ি টানাটানিতে অবশেষে সুপ্রিম কোর্টের রায় গেল অরবিন্দ কেজরিওয়ালের সরকারের দিকে ৷ শীর্ষ আদালত জানিয়েছে, রাজধানীর প্রশাসনিক পরিষেবার নিয়ন্ত্রণ থাকবে দিল্লি সরকারের কাছে ৷

Kejriwal Govt Gets Power
Kejriwal Govt Gets Power

By

Published : May 11, 2023, 3:08 PM IST

নয়াদিল্লি, 11 মে:সুপ্রিম কোর্টে স্বস্তি পেল দিল্লির অরবিন্দ কেজরিওয়ালের সরকার ৷ রাজধানীতে পরিষেবার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে কেন্দ্র ও রাজ্য দড়ি টানাটানিতে বৃহস্পতিবার আপ সরকারের পক্ষেই গেল শীর্ষ আদালতের রায় ৷ এই রায়ের জন্য সুপ্রিম কোর্টকে ধন্যবাদ জানিয়ে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল বলেছেন, গণতন্ত্রের জয় হল ৷

প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন পাঁচ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চ তাদের পর্যবেক্ষণে জানিয়েছে যে, প্রশাসনিক পরিষেবাগুলির উপর নিয়ন্ত্রণ থাকবে দিল্লি সরকারের হাতে । সুপ্রিম কোর্টের বেঞ্চ আরও বলেছে যে, শুধুমাত্র পাবলিক অর্ডার, পুলিশ এবং জমির অধীনে পরিষেবাগুলি দিল্লি সরকারের আওতা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে । লেফটেন্যান্ট গভর্নর জমি, পুলিশ এবং আইন-শৃঙ্খলা ছাড়া পরিষেবাগুলিতে এনসিটিডি-এর সিদ্ধান্তে আবদ্ধ থাকবেন বলে জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট ।

প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় বৃহস্পতিবার বলেন যে, "দিল্লির ন্যাশনাল ক্যাপিটাল টেরিটরি একটি পূর্ণাঙ্গ রাজ্য নয় ৷ এটি প্রথম তফসিলের অধীনে রাজ্য নয় তবুও এটি আইন প্রণয়নের ক্ষমতাপ্রাপ্ত ৷ কেন্দ্রের ক্ষমতা রয়েছে এবং রাজ্যেরও ক্ষমতা রয়েছে ৷ তবে রাজ্যের প্রশাসনিক ক্ষমতা কেন্দ্রের বিদ্যমান আইনের উপর ভিত্তি করে হবে । এটা নিশ্চিত করতে হবে যে, রাজ্যের শাসনব্যবস্থা যেন কেন্দ্রের দখলে না যায় ৷"

এই রায়ে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল টুইট করে ধন্যবাদ জানিয়েছেন শীর্ষ আদালতকে ৷ তিনি লেখেন, "দিল্লির জনগণের প্রতি ন্যায়বিচার করার জন্য মাননীয় সুপ্রিম কোর্টকে আন্তরিক ধন্যবাদ । এই সিদ্ধান্তের ফলে দিল্লির উন্নয়নের গতি বহুগুণ বেড়ে যাবে । গণতন্ত্র জিতেছে ।"

18 জানুয়ারি বিচারপতি এমআর শাহ, কৃষ্ণ মুরারি, হিমা কোহলি এবং পিএস নরসিমার সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ কেন্দ্রের তরফে সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা এবং দিল্লি সরকারের পক্ষে শীর্ষ আইনজীবী এএম সিংভির বক্তব্য শোনার পরে নির্দেশ সংরক্ষণ করেছিল । দিল্লিতে পরিষেবাগুলির নিয়ন্ত্রণের উপর কেন্দ্র এবং জাতীয় রাজধানী অঞ্চল সরকারের আইন প্রণয়ন ও প্রশাসনিক ক্ষমতা সংক্রান্ত আইনি সমস্যা শোনার জন্য গঠন করা হয়েছিল এই সাংবিধানিক বেঞ্চ ।

গত বছরের 6 মে, শীর্ষ আদালত দিল্লিতে পরিষেবাগুলির নিয়ন্ত্রণের বিষয়টি পাঁচ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চে উল্লেখ করে । দিল্লি সরকারের আবেদনটি 2019 সালের 14 ফেব্রুয়ারি বিভক্ত রায় থেকে উদ্ভূত হয়েছে, যেখানে বিচারপতি একে সিক্রি এবং অশোক ভূষণের দুই বিচারপতির বেঞ্চ (উভয়ই এখন অবসরপ্রাপ্ত) প্রধান বিচারপতির কাছে তিন বিচারপতির বেঞ্চ গঠনের সুপারিশ করেছিল, যারা রাজধানীতে পরিষেবাগুলির নিয়ন্ত্রণের বিষয়ে চূড়ান্তভাবে সিদ্ধান্ত নেবে ৷

বিচারপতি ভূষণ রায় দিয়েছিলেন যে, দিল্লি সরকারের সমস্ত প্রশাসনিক পরিষেবাগুলিতে কোনও ক্ষমতা নেই, অন্যদিকে বিচারপতি সিক্রি অন্য রায় দেন ৷ তিনি বলেছিলেন যে, আমলাতন্ত্রের শীর্ষস্থানীয় (যুগ্ম পরিচালক এবং তার উপরে) কর্মকর্তাদের বদলি বা পোস্টিং কেবল কেন্দ্রই করতে পারে এবং অন্যান্য আমলাদের সঙ্গে সম্পর্কিত বিষয়ে মতের পার্থক্যের ক্ষেত্রে লেফটেন্যান্ট গভর্নরের দৃষ্টিভঙ্গি প্রাধান্য পাবে ।

আরও পড়ুন:দীর্ঘ সাড়ে 9 ঘণ্টার জিজ্ঞাসাবাদ শেষে সিবিআই দফতর ছাড়লেন কেজরিওয়াল

ABOUT THE AUTHOR

...view details