নয়াদিল্লি, 25 এপ্রিল: বিভিন্ন আইন নারী ও পুরুষের মধ্যে পার্থক্য করে বা তাদের মিলনের বিষয়ে কথা বলে এবং সেই অনুযায়ী উভয়ের জন্য আলাদা বিধান আছে । তাই সমকামী দম্পতিদের কাঠামো নির্ধারণে আদালত কতদূর যেতে পারে, তা জানতে চাইল সুপ্রিম কোর্ট ৷ শীর্ষ আদালতের পাঁচ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চ সমকামী বিবাহের স্বীকৃতি চেয়ে আবেদনকারীদের কাছে আজ এই বিষয়টি জানতে চেয়েছে ৷ এই স্বীকৃতি দেওয়ার জটিল প্রক্রিয়া নিয়ে উদ্বেগও প্রকাশ করেছে আদালত ৷
প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ মামলাকারীদের উদ্দেশে বলে, "আপনি ঠিক বলেছেন যে, বিবাহ একটি অধিকারের তোড়া, এটি গ্র্যাচুইটি, পেনশনে থেমে থাকে না...সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল মৃত্যুতে জীবনসঙ্গীর অধিকার...যদি আমরা এসএমএ (বিশেষ বিবাহ আইন) এর অধীনে ঘোষণা করি যে পুরুষ শব্দটি প্রতিস্থাপন করুন....আমরা কি আজকে এখানেই থামতে পারি এবং বলতে পারি যে আমরা এতদূর যেতে পারব ? হিন্দু পুরুষ ও মহিলার বিয়ে হলে কী হয়...তখন আমরা এর মধ্যে ঢুকি না, কারণ তা হিন্দু উত্তরাধিকার আইনের মধ্যে পড়ে যায় ৷ যখন একজন পুরুষ বা মহিলা মারা যায় তখন ভিন্ন উত্তরাধিকার থাকে....তাই যতক্ষণ আপনি বৃহত্তর বিষয় নিয়ে কাজ করছেন, আদালতের জন্য সেই নিয়ে আলোচনা সহজ হয়, কিন্তু যখন আপনি সেই জায়গা অতিক্রম করে যান, তখন আর সেই আলোচনা থেমে থাকে না ৷"